নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করে তথ্য প্রমাণ লোপাট, দোষী সাব্যস্ত প্রতিবেশী তরুণকে ফাঁসির সাজা 

নাবালিকাকে ধর্ষণ করে তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে ডুডুয়া নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্ত । ধর্ষণ ও খুন করার আভিযোগে সেই অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দিল জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালত । বুধবার পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু সুর এই রায় দিয়েছেন । অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দেওয়ায় খুশি মৃত নাবালিকার পরিবার । জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের সরকারি আইনজীবী দেবাশিষ দত্তের বক্তব্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ধূপগুড়ি ব্লকের । দিনটা ছিল ২০২৩ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর । নাবালিকাকে তার বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত প্রতিবেশী । তারপর গামছা গলায় জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে নাবালিকাকে খুন করে ওই ৪৫ বছরের ব্যক্তি । এরপর তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার মৃতদেহ একটি বস্তায় ভরে স্থানীয় ডুডুয়া নদীতে ফেলে দেয় । এদিকে নাবালিকাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ধূপগুড়ি থানায় একটি নিখোঁজের মামলা দায়ের করে পরিবার । ঘটনার দিন সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ছিল ফলে অনেকেই ছিলেন না এলাকায় । ঘটনার তিন দিন বাদে ডুডুয়া নদীর ধারে একটি বস্তা উদ্ধার করে স্থানীয় বাসিন্দারা । সেই বস্তা থেকে উদ্ধার হয় নাবালিকার মৃতদেহ ।পুলিশ দেহটি শনাক্ত করে ময়নাতদন্তে পাঠায় । ঘটনার তদন্তে নেমে নাবালিকার বাড়ির আশপাশের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয় । তাতেই দেখা যায় ওই প্রতিবেশী ব্যক্তি একটি বস্তা নিয়ে যাচ্ছে । তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে । অভিযুক্তর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে খাটের তলা থেকে নাবালিকার জলের বোতল, অভিযুক্তের সাইকেল উদ্ধার করা হয় । এই মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর প্রায় দু’বছরের মাথায় বুধবার জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রায় ঘোষণা করেন । অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দেওয়ার পাশাপাশি তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টার জন্য ৭ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷

error: Content is protected !!