
দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র মহেশতলায়, আহত ৮ পুলিশ কর্মী, নামল ব়্যাফ
আবারও শিরোনামে মহেশতলার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকা ৷ নাবালককে উল্টো করে ঝুলিয়ে ইলেকট্রিক শক দেওয়ার ঘটনার পর, এবার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল রবীন্দ্রনগর ও তার সংলগ্ন অঞ্চল ৷ ইট ও কাঁচের বোতল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে দু’পক্ষের বিরুদ্ধে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মাথা ফাটল পুলিশের ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আটজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন ৷ জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই রবীন্দ্রনগর এলাকায় নতুন দোকান খোলাকে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা ছিল ৷ অভিযোগ, কাটমানি নিয়ে দোকান খোলা হচ্ছিল ৷ তারই প্রতিবাদে সকাল থেকে এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল ৷ বেলা গড়াতেই ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ৷ দু’তরফেই প্রচুর লোকজন জমা হয় ৷ যতক্ষণে স্থানীয় থানায় খবর যায়, তার আগেই ইট, কাঁচের বোতল ছোড়ার মতো ঘটনা ঘটতে শুরু করে ৷ এমনকি এলাকার একাধিক দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে হয় বলে অভিযোগ ৷ অনেক সাধারণ মানুষও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ৷ থানার সামনেই পুলিশের বাইকে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে ৷ অভিযোগ উঠেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার অনেক পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডায়মন্ড হারবার পুলিশের বাহিনী ৷ এমনকি কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স বা ব়্যাফ নামানো হয় ৷ এরপরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোঁড়ে পুলিশ ৷ লাঠিচার্জও করা হয় ৷ তবে, দুই গোষ্ঠীর কয়েকশো লোকের জমায়েত সামাল দিতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে ৷ বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলেই অভিযোগ উঠেছে ৷ খবর পেয়ে ভবানী ভবন থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রমিত সরকার, আইপিএস আকাশ মাঘারিয়া এবং ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার ৷ তাঁদের নেতৃত্বেই পুলিশ বাহিনী নামিয়ে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ফেরানোর চেষ্টা চলছে ৷ তবে, এলাকায় এখনও মাঝে মধ্যেই অশান্ত হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ ৷ এই নিয়ে পুলিশের কেউ মুখ খুলতে রাজি হয়নি ৷