পর পর এক বিস্ফোরণ ৷ ইরানের পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা করে ইজরায়েল ৷ শুক্রবার সকালে ইরানের রাজধানী তেহরান-সহ একাধিক এলাকায় ‘অপারেশন রাইসিং লায়ন’ চালাল ইজরায়েল ৷ হামলার পর প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানান, ‘অপারেশন রাইসিং লায়নের’ মাধ্যমে ইসলামি শাসনব্যবস্থার পরমাণু প্রোগ্রামের একেবারে হৃদপিণ্ডে আঘাত করেছে ইজরায়েল ৷ উল্লেখ্য, 1980 সালের যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় হামলার সম্মুখীন ইরান ৷ হামলায় ইরানের প্যারামিলিটারি রেভেলিউশনারি গার্ডের প্রধান জেনারেল হোসেন সালামির মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ সেই সঙ্গে, সেদেশের শীর্ষস্থানীয় দুই পরমাণু বিজ্ঞানীরও মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, তেহেরানের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে বিশাল হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল ৷ তীব্রতর এই হামলার কারণে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ যদিও, সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয় ৷ সাম্প্রতিক সময়ে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিকে কেন্দ্র করে ইরানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার সতর্ক করে ইজরায়েল ৷ তারপরই এই হামলা ৷ ইজরায়েলের শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, পারমাণবিক বোমা তৈরি বন্ধের জন্য ইরানের উপর এই হামলা দরকার ছিল ৷ যদিও, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ইরান আদৌ কতটা সফল, তা এখনও নিশ্চিত নয় ৷ তবে, এখানেই শেষ নয় ৷ ইউটিউবে এক বক্তব্যে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, পারমাণবিক হুমকি বন্ধ না-করা পর্যন্ত এই হামলা অব্যাহত থাকবে ৷