
ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার বিমানের ইঞ্জিনে আগে থেকেই সমস্যা ছিল! ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মেরামত করা হয়েছিল
আমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পর, বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা এবং সুরক্ষা মান নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, ভেঙে পড়া এই বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটি প্রায় ১২ বছরের পুরনো। এর ডান দিকের ইঞ্জিনটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মেরামত করা হয়েছিল এবং একই মাসে বিমানে ফের ইনস্টল করা হয়। জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের এপ্রিলে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানটির বাঁ দিকের ইঞ্জিনটিরও পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং উভয় ইঞ্জিনই প্রস্তুতকারকের প্রোটোকল অনুযায়ী কাজ করছিল। এয়ারলাই কর্তৃপক্ষের দাবি, বিমানটি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর ছিল এবং ২০২৩ সালের জুন মাসে এটির সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়েছিল। এর পরবর্তী বড় প্রযুক্তিগত পরীক্ষা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে হওয়ার কথা ছিল। দুর্ঘটনার পর, DGCA তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয় এবং এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের নিরাপত্তা পরিদর্শনের নির্দেশ দেয়। এয়ার ইন্ডিয়ার মতে, ৩৩টি বোয়িং ৭৮৭ বিমানের মধ্যে নয়টির পরিদর্শন ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।এয়ার ইন্ডিয়ার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা ডিজিসিএ-র নির্দেশে নিরাপত্তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রক্রিয়াধীন পর্যায়ে রয়েছি। পরবর্তী ফ্লাইটের আগে ভারতে ফিরে আসা বিমানগুলিতে এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। বাকি ২৪টি বিমানের পরীক্ষাও নিয়ন্ত্রকের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সেরে ফেলা হবে।” বর্তমানে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে ২৬টি বোয়িং ৭৮৭-৮ এবং ৭টি বোয়িং ৭৮৭-৯ বিমান রয়েছে। বিমান সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে, এই পরিদর্শনের ফলে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে এবং ফ্লাইট বিলম্বিত হতে পারে, বিশেষ করে যেসব বিমানবন্দরে রাতের ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা (কারফিউ) জারি রয়েছে। ইতিমধ্যে, দুর্ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে এবং বিশেষজ্ঞদের একটি দল ব্ল্যাক বক্সের তথ্যের সাহায্যে দুর্ঘটনার আসল কারণগুলি গভীরভাবে তদন্ত করছে।