
রথে দিঘার ভিড় সামলাতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা মুখ্যমন্ত্রীর
এবার রথের দিন ভিড় জমবে দিঘায়। লাখ-লাখ পুণ্যার্থী ভিড় জমাতে পারেন সৈকত নগরীতে। থাকতে পারেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর নির্দেশে রথযাত্রার ভিড় সামলাতে আগেভাগেই সতর্ক প্রশাসন। টোটোর দৌরাত্ম্যে লাগাম টানতেও প্রস্তুত তারা। সামনেই রথযাত্রা। এবার এই রথকে উৎসবের মতো করে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিধানসভায় বৈঠক সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দিঘার রথযাত্রা নিয়ে আলোচনা হয়। রথের দিন দিঘায় বিপুল ভিড় হবে মনে করেই নিরাপত্তা নিয়ে জোর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী-বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, এলাকায় মানুষকে বলবেন, ভিড় এড়িয়ে সাবধানে যেতে। দিঘায় মন্দিরের কাছে রাস্তার দুপাশে অযথা ভিড় বাড়াতে নিষেধ করবেন। যারা যেতে চাইছেন যান, কিন্তু একসঙ্গে একইদিনে নয়। সাবধানে ধীরে ধীরে যান। জানা গিয়েছে, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের রাস্তায় দুপাশে ব্যারিকেড থাকবে। সেই ব্যারিকেডের ভিতরেই পুণ্যার্থীরা থাকবেন। কিন্তু সকলে যাতে রথের দড়ি ছুঁতে পারে সেই ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। স্নানযাত্রা উপলক্ষে জনজোয়ার দেখেছে সৈকতনগরী। আর সেই সুযোগে মাথাচারা দিয়েছে একদল অসাধু ব্যবসায়ী। হোটেল থেকে টোটো ভাড়া আকাশ ছুঁয়েছিল। রথযাত্রায় সেই পরিস্থিতি যাতে না হয়, তার জন্য আগেভাগেই সতর্ক জেলা প্রশাসন। দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদে টোটো ভাড়া-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে বৈঠক করেন বিধায়ক অখিল গিরি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক)-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। সেখানে বলা হয়েছিল, তিনদিনের মধ্যে আরটিও এবং দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদে নতুন ভাড়ার তালিকা জমা করতে হবে। টোটার সামনে সেই তালিকা টাঙাতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে কত টোটো চলাচল করছে। প্রতিটি টোটোর বৈধ কাগজপত্র জমা করতে হবে। একদিন পর পর কোন রুটে কোন টোটো চলবে সেই তালিকাও পুলিশকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অযথা যাতে কোনও একটি রুটে যানজট না হয়, তাই একদিন অন্তর এক-একটি রুটে ভিন্ন ভিন্ন টোটো চালানোর কথা বলা হয়েছে। সবমিলিয়ে টোটোর ভাড়া ও যানজট রুখতে সতর্ক পুলিশ।