বিধানসভায় পাস ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট সংশোধনী বিল

বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে পাস হয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট (রেজিস্ট্রেশন, রেগুলেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি) (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’ ৷ এই বিল অনুযায়ী, রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্টে নির্ধারিত চিকিৎসার খরচ ও প্যাকেজ রেট স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা বাধ্যতামূলক এবং তা এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ সহজেই দেখতে পান ৷ বিল অনুযায়ী, কোনও চিকিৎসা শুরুর আগে রোগী বা তাঁর পরিবারকে নির্দিষ্ট প্যাকেজের বাইরে থাকা সমস্ত সম্ভাব্য খরচের একটি সুনির্দিষ্ট অনুমান দিতে হবে ৷ চূড়ান্ত খরচ রাজ্য সরকার নির্ধারিত সীমার বাইরে যেতে পারবে না এবং কোনও অতিরিক্ত খরচ হলে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানো বাধ্যতামূলক ৷ সেই সঙ্গে বিষয়ভিত্তিক খরচের বিস্তারিত বিবরণও দিতে হবে ৷ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই বিল সম্পর্কে বলেন, “এই বিল বেসরকারি হাসপাতালগুলির স্বচ্ছতা ও দায়িত্ববোধ বাড়াবে এবং চিকিৎসার নির্ধারিত রেট মানা বাধ্যতামূলক করবে ৷” এই বিল অনুযায়ী, রাজ্যের সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালকে ই-প্রেসক্রিপশন চালু করতে হবে এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য যেমন প্রেসক্রিপশন, ডিসচার্জ সারাংশ ও চিকিৎসার বিবরণ দীর্ঘমেয়াদি ইলেকট্রনিক রেকর্ড হিসাবে রাখতে হবে ৷ রাজ্য সরকার চাইলে সেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে ৷ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াতেও বদল আনা হয়েছে ৷ এখন থেকে স্বাস্থ্য দফরের সহ-পরিচালক বা তার ঊর্ধ্বতন কোনও আধিকারিক রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ হবেন ৷ নতুন লাইসেন্স বা নবীকরণের আবেদন ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং অনুমোদন বা বাতিলের কারণ জানাতে হবে ৷ বিল অনুযায়ী, আইনি ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে এখন থেকে আইপিসি (IPC) এবং সিআরপিসি (CrPC)-এর জায়গায় যথাক্রমে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এবং ভারতীয় বিচার প্রক্রিয়া সংহিতা (BNSS) প্রয়োগ হবে ৷ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি একসঙ্গে কাজ করুক, যাতে সাধারণ মানুষ উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পান ৷ এই সংশোধনী সেই উদ্দেশ্যেই আনা হয়েছে ৷”

error: Content is protected !!