
বীরভূমের লাভপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত ২, ঘটনাস্থলে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী
বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে শেখ সাবির (26) ও শেখ আলমগীর (18) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি লাভপুর থানার হাতিয়া গ্রামে ৷ তবে মৃতের সংখ্যা বেশি হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। কারণ ঘটনার পরেই দেহ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ৷ মৃতদের মধ্যে এক ছাত্রও আছে ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রয়েছে ঘটনাস্থলে ৷ বীরভূমের লাভপুরের হাতিয়া গ্রামে নকল সোনার কয়েন বিক্রি চক্রের ঘাঁটি বলেই পরিচিত ৷ শুক্রবার রাতে এই কয়েন চক্রের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ শুরু হয় ৷ দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বোমাবাজি । দফায় দফায় গ্রামের রাস্তায়, মাঠে দুই পক্ষের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে বোমাবাজি চলতে থাকে ৷ এর সঙ্গে যোগ আছে শাসক দলেরও, এমনটাই অভিযোগ। হাতিয়া গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ নৈমুদ্দিন এবং তাঁর সহযোগী শেখ মুস্তাফির গোষ্ঠীর সঙ্গে নকল কয়েন বিক্রেতার অন্যতম মাথা শেখ মনির গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রয়েছে বলেও জানাচ্ছে স্থানীয়রা। পুলিশের খাতায় নাম থাকায় প্রায় ছয় মাস এরা ফেরার ছিল ৷ গ্রামে ঢুকতেই শুরু হয় বোমাবাজি । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে গ্রামের ছাতিম পুকুরের পারে বসে মনিরের দল বোমা বাঁধতে শুরু করে ৷ সেই সময় অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই বেশ কয়েকজনের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ৷ তবে এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ৷ মৃতদের মধ্যে আলমগীর ছাত্র ৷ আরও চারজন গুরুত্বর জখম হয়েছে বলে খবর ৷ তাঁদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি দেহ লোপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এদিন ঘটনার পর থেকেই গ্রামে উত্তেজনা এতটাই ছিল যে সকাল 11টা পর্যন্ত পুলিশ গ্রামে ঢুকতে পারেনি ৷ পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী, কমব্যাট ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় ৷