‘বোঝাই যাচ্ছে গড়াপেটা হয়েছে ‘! নির্বাচন কমিশনের তথ্য মোছার সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় রাহুল 

ভোট মিটে যাওয়ার ৪৫ দিন পর বিভিন্ন তথ্য মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ওয়েব কাস্টিং ও সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলা হবে বলে ঠিক হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি । এভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গড়পেটা হচ্ছে বলে মনে করেন রাহুল । তাঁর কটাক্ষ, নির্বাচন নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন উঠলে যাদের জবাব দেওয়ার কথা তারা তা না করে তথ্য মুছে ফেলছে ! এখান থেকেই ভোটে অস্বচ্ছতার বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে । আর অস্বচ্ছ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য বিষের মতোই ক্ষতিকারক । এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বলেন, “মেশিনের সাহায্যে ভোটার লিস্ট যাচাই করার ব্যবস্থা নেই । আইনে বদল এনে সিসিটিভি ফুটেজ লুকিয়ে রাখা হচ্ছে । এখন আবার ভোটের ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাদের উত্তর দেওয়ার কথা তারাই তথ্য মুছে ফেলছে ! বোঝাই যাচ্ছে গড়াপেটা হয়েছে। আগে থেকে ভোটের ফলাফল ঠিক করে রাখা হচ্ছে । দুনিয়ার যে কোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অস্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়া আদতে বিষ ছাড়া আর কিছু নয় ।” গত বছর অক্টোবর মাসে মহারাষ্ট্র নির্বাচনের পর থেকে ভোট প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা আছে বলে বারবার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি । রাহুল নিজে ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে নির্বাচন সংক্রান্ত অন্য তথ্য এবং ভিডিয়ো ফুটেজ চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন । শুধু তাই নয়,বিজেপির জয়ের নেপথ্যে পদ্মফুল ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে সর্বভারতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদনও লিখেছেন ৷ বিজেপি কীভাবে ‘ধাপে ধাপে কারচুপি করে এই ভোটে জিতেছে’, তা বিশদে ব্যাখ্যা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ ৷ যদিও সে সময়ই তাঁর এই অভিযোগ খারিজ করেছে কমিশন ৷ রাহুলের পাল্টা কলম ধরেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশও । রাহুলকে কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, কোনও একটি দলের থেকে মানুষ যদি মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে তাদের উচিত সেই কারণ খুঁজে বের করা । কংগ্রেসকে বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করেছে। একথা মেনে নিয়ে সংগঠন বৃদ্ধিতে মন দেওয়া উচিত কংগ্রেসের । কিন্তু তারা না করে নির্বাচনে গড়াপেটার অভিযোগ তুলে বিভ্রান্ত করতে চাইছে । এমনই উত্তেজনাপূর্ণ বাতাবরণে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের সমস্ত তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন ৷ ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর ফলাফল নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের না-হলে, 45 দিনের মধ্যে সমস্ত ভিডিয়োর ফুটেজ মুছে ফেলতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধী শিবির । এবার কয়েক ধাপ এগিয়ে নির্বাচনে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সরব হলেন রাহুল ।

error: Content is protected !!