
কলকাতায় দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর গড়ার উদ্যোগ নিল রাজ্য
কলকাতার অদূরেই তৈরি হবে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। জেলা প্রশাসনকে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া নির্দেশে সেই সম্ভাবনাই প্রবল৷ সূত্রের খবর, প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে বিশিষ্ট বিমানবন্দর তৈরির মতো জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, বিমানবন্দরে হ্যাঙ্গার তৈরি করার মতো পর্যাপ্ত জমিও থাকতে হবে বলে নির্দেশে বলা হয়েছে৷ বোয়িং ৭৭৭-এর মতো বড় বিমান যাতে নামতে পারে, মুখ্যসচিবের দেওয়া নির্দেশে সেকথাও বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে৷ দিন কলকাতা বিমানবন্দরের উপরে চাপ বাড়ছে৷ সেই কারণেই কলকাতার অদূরে আরও একটি বড় বিমানবন্দর তৈরি করতে চাইছে রাজ্য সরকার৷ কয়েকদিন আগে রাজ্যের মুখ্যসচিবের তরফে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলা প্রশাসনকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ বিমানবন্দর তৈরির জন্য রাজ্য সরকার এবং জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক পছন্দের তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ভাঙড় এলাকা৷এর পাশাপাশি পুরুলিয়ার ছড়রাতেও রাজ্য সরকার একটি বিমানবন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রে খবর৷
অন্যদিকে, সম্প্রতি মালদার প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের তৈরি বিমানবন্দরগুলি দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের পক্ষে যোগাযোগ করা হয় এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে। গত ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকেই মালদা, বালুরঘাট ও কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শন করে তাদের প্রতিনিধি দল। নবান্ন সূত্রে খবর, পরিকাঠামো দেখে সন্তুষ্ট তারা। রাজ্যের এক আধিকারিক জানান, বালুরঘাট ও কোচবিহার বিমানবন্দর পরিষেবা চালুর জন্য একদম প্রস্তুত। প্রয়োজনীয় ‘ফ্রিকশন টেস্ট’-এর পরেই দু’টি বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচলের জন্য ছাড়পত্র মিলেছে। বালুরঘাট বিমানবন্দরে একটি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে বর্তমান পরিকাঠামোয় বিমান পরিষেবা শুরু করা সম্ভব। সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে রাজ্যের চতুর্থ বিমানবন্দরটি গড়ে উঠবে ভাঙড়ে। শুক্রবারই ভাঙড়-২ ব্লকে জমি পরিদর্শন করলেন জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার বিভাগের কর্তা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। পাশাপাশি বালুরঘাট ও কোচবিহার বিমানবন্দরের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া বিমান চলাচলের জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।