
গড়িয়ায় মাদক মেশানো জল খাইয়ে নার্সকে বেহুঁশ করে ধর্ষণের চেষ্টা! গ্রেফতার অভিযুক্ত
জলের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে এক নার্সকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ৷ ঘটনায় অভিযুক্ত মহিলার এক পরিচিত চায়ের দোকানদার ৷ বাধা দিলে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ ৷ মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার রূপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, “ইতিমধ্যেই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ তথ্যপ্রমাণের উপর নির্ভর করে পরবর্তীতে তদন্ত এগোবে ৷” অভিযোগকারী নার্স পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ভিনরাজ্যে কাজ করেন ৷ সেখানে তাঁকে অনলাইনে টাকা পাঠানোর জন্য সাহায্য চাইতে গিয়েছিলেন ৷ সন্ধেবেলা যেতে চাইলে, তাঁকে রাত ১০টা নাগাদ দোকানে আসতে বলেন অভিযুক্ত ৷ সেই মতো রাতে দোকানে গেলে তাঁকে চা খাওয়ার জন্য বলেন ওই দোকানদার ৷ তিনি চা খেতে না-চাওয়ায় জল দেন ৷ অভিযোগ, জল খাওয়ার পরেই মাথা ঘোরাতে হতে শুরু করে তাঁর ৷ জলের সঙ্গে কী মিশিয়েছে, জানতে চাওয়ায় প্রাণে মারার হুমকি দেন অভিযুক্ত চা-দোকানি ৷ অভিযোগ, এরপর ওই মহিলাকে জোর করে দোকানের ভিতরের ঘরে নিয়ে যান অভিযুক্ত এবং দরজা বন্ধ করে দেন ৷ এরপরেই তিনি জ্ঞান হারান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ৷ ফলে তাঁর সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছে, তা বলতে পারেননি মহিলা ৷ রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ জ্ঞান ফিরলে, নিজেকে বিবস্ত্র অবস্থায় দোকানের ভিতরের ঘরে পান অভিযোগকারী ৷ সেই সময় সেখান কেউ ছিল না-বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি ৷ এরপর কোন মতে নিজের জমাকাপড় খুঁজে, তা পরে বাড়ি ফেরেন তিনি ৷ বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের পুরো ঘটনাটি জানান ৷ রাতেই পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝরাতেই নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত দোকানদারের বাড়িতে হানা দেয় এবং তাকে গ্রেফতার করে ৷ অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা জানতে তাঁকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ পুলিশ আপাতত ধর্ষণের চেষ্টা-সহ অন্যান্য ধারায় মামলা রুজু করেছে ৷ মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেলে, সেই মতো ধারা যোগ করা হবে ৷