কপিলমুনি মন্দিরের উপরে আলোর ঘোরাফেরা, গঙ্গাসাগরে ড্রোন আতঙ্ক

ফের রাজ্যের আকাশে ড্রোনের আনাগোনা ! কলকাতায় সন্দেহজনক ড্রোন দেখা যাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গঙ্গাসাগরে দেখা মিলল লাল-হলুদ-সবুজ রহস্যময় আলোর ৷ বুধবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলীয় এলাকার আকাশে একাধিক রহস্যময় আলো জ্বলতে নিভতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁদের সকলের অনুমান, ওগুলি ড্রোন হতে পারে ৷ গঙ্গাসাগর, মৌসুনী, বকখালি ও ফ্রেজারগঞ্জ উপকূলে রাতের আকাশে এই রহস্যময় আলো দেখা গিয়েছে ৷ স্থানীয়দের দাবি, আনুমানিক বারোটা নাগাদ রাতের আকাশে হঠাৎই বিভিন্ন রঙের আলোর গতিবিধি চোখে পড়ে । স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান এটি ড্রোনের আলো । উপকূলীয় এলাকায় দুই থেকে তিনটি ড্রোন রহস্যময়ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল । এমনকি, গঙ্গাসাগর এলাকার কপিলমুনি মন্দিরের ওপর বেশকয়েক মিনিট ড্রোনগুলিকে দেখা যায় । এলাকাবাসীদের অনেকেই সেই চলমান আলোর ছবি মোবাইল বন্দি করেন । গঙ্গাসাগর ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকায় অস্বাভাবিক ড্রোনের গতিবিধি লক্ষ্য করে পুলিশে খবর দেন তাঁরা । এই বিষয়ে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, “এই বিষয়ে আমরা নিজেদের মতো করে একটি তদন্ত করছি । ড্রোনগুলি কারা অপারেট করছিল তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি ।” বিষয়টি নিয়ে সাগরদ্বীপের বাসিন্দা পরিবালা গিরি নামে এক বৃদ্ধা বলেন, “বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ বাইরে উঠেছিলাম ৷ গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরের পাশে বেশ কয়েকটি রহস্যময় আলো দেখতে পাই । আলোটি উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে সরে যাচ্ছিল । কিসের আলো আমরা বুঝতে পারিনি । তবে দেশের যা পরিস্থিতি তাতে এই ঘটনায় আমরা ভয়ে আছি ৷” সাথী মৈত্রের কথায়, “দুই দেশের মধ্যে অশান্তকর পরিস্থিতির মধ্যে এই রহস্যময় আলো আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে । সম্পূর্ণ বিষয়টা আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে জানিয়েছি । কীসের আলো আমরা বুঝতে পাচ্ছি না । সাগরদ্বীপের বাসিন্দারা কিছুটা হলেও আতঙ্কে রয়েছে এই আলোর গতিবিধি নিয়ে ।”কলকাতার হেস্টিং, ফোর্ট উইলিয়াম ও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের উপর দিয়ে ড্রোন চলাচলের ঘটনার পর গঙ্গাসাগরের একাধিক এলাকায় ড্রোনের দেখা মেলায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত প্রশাসন ৷