
আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জের, ড্রিমলাইনারের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার ভাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের!
আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের সমস্ত বিমান ‘গ্রাউন্ড’ করার অর্থাৎ বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সূত্র মারফত এমন খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ড্রিমলাইনার ২০১১ সাল থেকে আকাশে উড়ছে। এর আগে একটিও বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়নি। তবে দুর্ঘটনার কবলে না পড়লেও এই ড্রিমলাইনার নিয়ে বিতর্ক বিস্তর। এই বিমানের সুরক্ষা পদ্ধতির ত্রুটি নিয়ে অতীতে প্রশ্ন তুলেছিলেন বোয়িং সংস্থারই এক শীর্ষ আধিকারিক। এরই মধ্যে ড্রিমলাইনারের সমস্ত বিমান গ্রাউন্ড করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই নিয়ে আমেরিকান সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমান টেক অফ করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৩০ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু মেম্বারের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। বরাত জোরে বেঁচে যান একজন যাত্রী। এদিকে যে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে এই বিমান ভেঙে পড়ে সেখানকার পড়ুয়াদের হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর বোয়িংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে। সব বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়াকে সহযোগিতা করার কথাও জানিয়েছে তারা। এদিকে বিমান তৈরি করার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আড়াই হাজারের বেশি ৭৮৭ মডেলের বিমান বিক্রি করেছে বোয়িং। সূত্রের খবর, এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে এই মুহূর্তে এই মডেলের ৪৭টি বিমান রয়েছে। এই পরিস্থিতি ভারত সরকারের ভাবনা অনুযায়ী এই বিমানগুলিকে যদি গ্রাউন্ড করে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে বিদেশ যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছেন অনেকে। কোনও মডেলের বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়লে, সেই দুর্ঘটনার আসল কারণ যতদিন পর্যন্ত না জানা যায় ততদিন সেই মডেলের অন্য সমস্ত বিমান গাউন্ড করে দেওয়াই নিয়ম। তদন্তে যদি দেখা যায় দুর্ঘটনার কারণ পরিকাঠামোগত ত্রুটি নয় তখন ফের সেই পরিষেবা চালুর অনুমতি দেওয়া হয়।