হুমকি কাণ্ডে SDPO অফিসে ২ ঘণ্টা জেরা, বেরিয়েই অনুব্রত গেলেন পার্টি কার্যালয়ে

অশ্রাব্য ভাষায় আইসিকে দেওয়া হুমকি কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল গিয়েছিলেন পুলিশি জেরার মুখমুখি হতে। ঘটনার ৭ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি শেষমেশ এসডিপিও অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পৌঁছান। এর আগে তিনি এই মামলায় পুলিশি তলব ২ বার এড়িয়ে ছিলেন। তবে আজ সকালে অফিসের পিছনের রাস্তা দিয়ে তিনি হাজির হন এসডিপিও অফিসে। চলে টানা ২ ঘণ্টা ধরে জেরা। টানা জেরার পর এসডিপিও অফিস থেকে অনুব্রতকে ‘কুল মোড’এই বের হতে দেখা যায়। তার আগে, অফিসের পিছনের দিকের দরজা দিয়ে অনুব্রত ঢোকেন। তার আগে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে গলি রাস্তা দিয়ে গাড়িতে ওঠেন তিনি। বেশ কিছু রিপোর্টের দাবি, সকলের নজর এড়িয়ে এসডিপিএ অফিসে যাওয়ার চেষ্টা দেখা যায় কেষ্ট মণ্ডলের মধ্যে। এরপর দুপুর ৩টে ২৫ মিনিট নাগাদ তিনি পৌঁছন অফিসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল এসপি রানা মুখোপাধ্যায়, SDPO রিকি আগরওয়াল। সূত্র উল্লেখ করে মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, অনুব্রতর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কেন ওই আইসিকে ফোন করেব, কেন ওই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করা হয়, এই সমস্ত বিষয়গুলি। জানা যাচ্ছে, অনুব্রতর ফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এদিন অনুব্রতর সঙ্গে আইনজীবী বিপত্তারণ ভট্টাচার্য ছিলেন বলে খবর। জেরা শেষে এসডিপিও অফিস থেকে বেরিয়ে অনুব্রত মণ্ডল সোজা যান পার্টি অফিসে। এদিকে, সন্ধ্যা নাগাদ পার্টি অফিস থেকে বের হতেই অনুব্রতকে সাংবাদিকরা নানান প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। জানতে চাওয়া হয় তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন কি না, অনুব্রত উত্তরে বলেন,’ আগে চাল চলন দেখি, তারপর..’। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা নাগাদ পার্টির কার্যালয় থেকে সোজা অনুব্রত মণ্ডল চলে যান বাড়ির দিকে। প্রসঙ্গত, হুমকি কাণ্ড ঘিরে এক অডিয়ো ভাইরাল হতেই তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি গত বৃহস্পতিবার থেকে তোলপাড় হয়। পুলিশের আইসিকে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলার অভিযোগ রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। বীরভূমের এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে বোলপুরসেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুব্রত হাজিরা দেন পুলিশ। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুব্রত হাজিরা দেন এসডিপিও-র কার্যালয়ে।

error: Content is protected !!