
ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের মাঝে বাঙ্কারে বসেই ক্ষমতা হস্তান্তর খামেনির!
ইজরায়েলের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং হোয়াইট হাউজের নতুন করে হুমকির মাঝে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ কাউন্সিল ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কাছে। ইরান ইনসাইটের খবরে বলা হয়, খামেনিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় তেহরানের একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে আছেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে আছেন ছেলে মোজতাবাসহ এবং পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা। এদিকে ইজরায়েল ও ইরান আজ সকালেও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে একে অপরের দিকে। বুধবার লড়াইয়ের ষষ্ঠ দিনেও উভয় পক্ষ পিছু হটতে অস্বীকার করেছে। এই ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝেই এই যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অংশ নিতে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে ইরানকে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতরাতে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে আছেন তা হোয়াইট হাউজ ‘সঠিকভাবে’ জানে। ট্রাম্পের কথায়, আমরা জানি ইরানের তথাকথিত সর্বোচ্চ নেতা কোথায় লুকিয়ে আছেন। আমরা তাঁকে হত্যা করব না, অন্তত আপাতত নয়… তবে আমাদের ধৈর্য শেষ হয়ে আসছে।’ ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণেরও আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। ১৯৮৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর খামেনি ইরানের সামরিক বাহিনী ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নিয়োগের ওপর চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তবে খামেনির একসময়কার বিশ্বস্ত কমান্ডার ও কৌশলবিদদের প্রায় সকলেই ইজরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এই আবহে ইরানে কৌশলগত শূন্যতা তৈরি হতে পারে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, খামেনিকে হত্যা করলে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যকার সংঘাতের অবসান ঘটবে। এই চলমান সংঘাতে ইরানে অন্তত ২২৪ জন এবং ইজরায়েলে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এরই মাঝে আজ সকাল সকাল ইজরায়েলে আরও ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। জবাবে ইজরায়েলও হামলা চালিয়ে তেহরানের পাশে ইরানের তেল শোধনাগার এবং জ্বালানি ভাণ্ডারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।