বাগনানে বেপরোয়া লরির ধাক্কা, মৃত্যু দুই পুলিশকর্মী

হাওড়ার বাগনানে জাতীয় সড়কের উপরে টহল দেওয়ার সময় মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন দুই পুলিশকর্মীর৷ গুরুতর আহত আরও তিন জন৷ মৃতদের মধ্যে রয়েছেন একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন হোমগার্ড৷ নিহত সাব ইন্সপেক্টরের নাম সুজয় দাস এবং হোমগার্ডের নাম পলাশ সামন্ত৷ সূত্রে খবর, এ দিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে বাগনানের বরুন্দা এলাকায় একটি জিপে করে টহল দিচ্ছিলেন ওই বাগনান থানার পুলিশকর্মীরা৷ সেই সময় আচমকাই পুলিশের ওই জিপে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি৷ লরির ধাক্কায় সম্পূর্ণ দুমড়ে মুচড়ে যায় পুলিশের জিপটি৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই সাব ইন্সপেক্টর এবং হোমগার্ডের৷ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগনান থানার পুলিশ৷ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়৷ শুকদেব বিশ্বাস এবং অলোক বর নামে দুই আহত কনস্টেবলকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ বিকেলে আহত দুই কনস্টেবলকে দেখতে হাসপাতালে যান এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিম এবং হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী৷ দুই কনস্টেবলের চিকিৎসার সব দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বলে আহতদের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন তাঁরা৷ দুর্ঘটনায় নিহত এএসআই সুজয় দাসের বাড়ি হাওড়ার বেলুড়ে৷ ভোর পাঁচটা নাগাদ হাওড়ার বাড়িতে এই দুঃসংবাদ এসে পৌঁছয়৷ নিহত এএসআই-এর স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে৷ সুজয় দাসের ছেলের বয়স তিন বছর, মেয়ের বয়স ১২ বছর৷ দুর্ঘটনার খবরে কার্যত বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা৷ দুর্ঘটনায় বাগনান থানার এসআই সুজয় দাসের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বেলুড়ে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ওই দু:সংবাদ এসে পৌঁছায় বেলুড়ের বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকজন রওনা হন বাগনানের উদ্দেশ্যে। সুজয়ের পরিবারে এক ৩ বছরের ছেলে ও ১২ বছরের মেয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। স্ত্রী ও দাদার পরিবার রয়েছেন।