
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি না মানলে আরও ১০ পণবন্দিকে হত্যা করার হুঁশিয়ারি বালোচ বিদ্রোহীদের
যাত্রীবাহী জাফার এক্সপ্রেস অপহরণ ও ৩০ পাক সেনাকে হত্যার পর এবার পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি বালোচ বিদ্রোহীদের। ৪৮ ঘণ্টার চরমসীমা দেওয়া হল পাকিস্তান সরকারকে। দাবি না মানলে আরও ১০ পণবন্দিকে হত্যা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৬ জন বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়েছে বলে সেনার যে দাবি করেছিল তা খারিজ করেছে বালোচ বিদ্রোহীরা। স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, তাঁদের কোনও সদস্যের মৃত্যু হয়নি। মিথ্যা দাবি করেছে পাক সেনা। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বালোচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের পেশোয়ারে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী জাফার এক্সপ্রেস। পাক সেনাকর্মী থেকে শুরু করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও নিরাপত্তা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন ওই ট্রেনে। যাত্রার মাঝপথে আচমকাই চলন্ত ট্রেনে হামলা চালায় বালোচ বিদ্রোহীরা। রেললাইন উড়িয়ে দিয়ে পণবন্দি করা হয় ২১৪ জনকে। বালোচ বিদ্রোহীদের দাবি, এই অভিযানে ৩০ জনের বেশি পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে পাক সেনার সঙ্গে লড়াই চালানোর পর পাক সেনা পিছু হটেছে। বালোচ বিদ্রোহীদের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, “ট্রেন এখন আমাদের দখলে। বর্তমানে ২১৪ জন পণবন্দি রয়েছেন। পাক সরকার যে বালোচ বিদ্রোহীদের বন্দি করেছেন তাঁদের মুক্তির বদলে আমরা বন্দিদের মুক্তি দিতে রাজি আছি।” এই বিষয়ে ৪৮ ঘণ্টার চরমসীমা দেওয়া হয়েছে পাক সরকারকে। বলা হয়েছে, “যে বালোচ রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা হয়েছে এবং হুম করে দেওয়া হয়েছে তাঁদের সকলকে মুক্তি দিতে হবে। যদি আমাদের দাবি না মেনে ফের সেনা অভিযান চালানো হয়, সেক্ষেত্রে সব বন্দিদের শেষ করে দেব ও এই ট্রেন পুরোপুরি ধ্বংস করে দেব।” এদিকে পাক সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনে ওই হামলার পর বড় পরিসরে বালোচ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামা হচ্ছে। নিরাপত্তাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ১০৪ জন যাত্রীকে মুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৭ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সেনার পালটা হামলার ১৬ জন বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও এই দাবিকে মিথ্যা বলে জানাল বালোচ বিদ্রোহীরা।