দিল্লিকে ৬ উইকেটে হারিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৬২/৮ (রাহুল ৪১, স্টাবস ৩৪, অভিষেক ২৮, হ্যাজেলউড ২/৩৬) ,
রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৬৫/৪ (ক্রুণাল ৭৩, বিরাট ৫১,  অক্ষর ২/১৯),

৬ উইকেটে জয়ী রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

দিল্লি প্রথমে ব্যাট করে ১৬২ রান করে। টস জেতেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পটিদার। দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান তিনি। এই সিদ্ধন্তেই বুঝি ভুল হয়ে গেল! বেঙ্গালুরুর বোলাররা সাহায্য পেলেন বাইশ গজের। এর মধ্যেও বঙ্গসন্তান অভিষেক পোড়েল চালিয়ে খেলেন। ১১ বলে ২৮ রান করেন তিনি। অভিষেককে ফেরান জস হ্যাজেলউড। দিল্লির ব্যাটিং বিভাগে নেতৃত্বে দেন কেএল রাহুল। যদিও এদিন স্বাভাবিক ছন্দে ছিলেন না তিনি। ফলে ৪১ রান করতে ৩৯টি বল খরচ করতে হয় তাঁকে। তারপরেও রাহুলের রানেই দিল্লির স্কোরবোর্ডে যতটুকু পুষ্টি। বাকিরা তো আয়ারাম-গ্যায়ারাম। একমাত্র ২২ রান করে আউট হয়ে যান ডুপ্লেসি। আসল কথা দিনটা ছিল কিং কোহলির। অক্ষর প্যাটেল (২/১৯) ছাড়া দিল্লির কোনও বোলার ব্যাটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। ৪৭ বলে ৫১ রানের দায়িত্ববান ইনিংস খেলেন বিরাট। পাশাপাশি দুরন্তে ছন্দে ব্যাট করলেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়াও। চালিয়ে খেলে ৪৭ বলে ৭৩ করলেন শুধু না, ম্যাচ শেষ করে ফিরলেন। এক সময় বেঙ্গালুরু পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেলেও কোহলি বা ক্রুণাল সেই চাপকে পাত্তা দেননি। এই মনোভাবই তাঁদের জিতিয়ে দিল। যদিও ছয় মারতে গিয়ে আউট হওয়ায় নিজের উপরে বেজায় ক্ষুব্ধ হন কোহলি। সেই সময় বাকি থাকা ১৮ রান তুলতে অবশ্য কোনও অসুবিধায় পড়েননি বাইশগজে থাকা ক্রুণাল এবং টিম ডেভিড। ফলে ১৮ ওভার ৩ বলে ১৬৫ রান তুলে ছয় উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় আরসিবি। 

error: Content is protected !!