
BENGAL BUDGET: মহার্ঘভাতা বাড়ল ৪ শতাংশ, সরকারি কর্মচারীরা ডিএ বেড়ে হল ১৮ শতাংশ
প্রত্যাশামতোই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ বাড়াল রাজ্য সরকার ৷ রাজ্য বাজেটে ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখলেন অর্থ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷ এতদিন কর্মচারীরা ডিএ পেতেন ১৪ শতাংশ হারে ৷ এদিনের ঘোষণার পর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে হল ১৮ শতাংশ ৷ চন্দ্রিমা জানিয়েছেন, আগামী এক এপ্রিল থেকে বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা ৷ এই ঘোষণার পরও কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক থাকল ৩৫ শতাংশ ৷ বুধবার রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাম সরকারের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “রাজ্যের উন্নয়নে সরকারি কর্মচারীদের অবদান অনস্বীকার্য । আমাদের সরকার সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সবসময় সহানুভূতিশীল । আপনারা জানেন যে, বিগত বামফ্রন্ট সরকার পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশের মাত্র ৩৫ শতাংশ ডিএ দিয়েছিল । আমরা ক্ষমতায় আসার পর ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিএ দিয়েছিলাম । এরপর ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ১২৫ শতাংশ ডিএ বেসিক পে-র সঙ্গে যুক্ত করে নতুন বেসিক পে ধার্য হয় । এই নতুন বেসিক পে-র উপর আমরা এখনও পর্যন্ত ১৪ শতাংশ ডিএ দিয়েছি ।” এরপরই চন্দ্রিমা ঘোষণা করেন, “আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, সরকারি কর্মচারী, আধা সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের উপর মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কিছুটা লাঘব করতে সরকার ডিএ-র হার আরও চার শতাংশ বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা কার্যকরী হবে ১ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে ।” যদিও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি যথেষ্ট নয় বলে দাবি করে তোপ দেগেছে বিজেপি ৷ এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “রাজ্য সরকার কি ডিএ দয়া করে দিচ্ছে নাকি ? অন্তত ৮ শতাংশ ডিএ দেওয়া উচিত ছিল । কেন্দ্রীয় সরকার যে হারে ডিএ দিচ্ছে তার সঙ্গে রাজ্যের কোনও তুলনা হয় না । অন্তত অন্যান্য রাজ্যগুলি যে হারে ডিএ দেয়, তেমন দিক । বাংলা তো গরিব রাজ্য ছিল না কখনওই । তাহলে ডিএ দিতে এত সমস্যা কেন ?।”