রাজ্য বাজেটঃ বাংলায় আসছে ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’

বাজারে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের ছড়াছড়ি হামেশাই দেখতে পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় আপনার কাছে ফোনও আসে ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য। সোশ্যাল মিডিয়াতে তো আবার হামেশাই ক্রেডিট কার্ডের বিজ্ঞাপন দেখতে পাওয়া যায়। আর এই সব ক্রেডিট কার্ড ঘিরে অভিযোগও কিছু কম শোনা যায় না। একই সঙ্গে এই সব ক্রেডিট কার্ড মোটা বেতনের মানুষজন বা ব্যবসায়ী ভিন্ন চট করে কেউ পানও না। তাই বাজারচলতি ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে আমজনতার সরাসরি কোনও যোয়াগযোগও থাকে না। তবে রাজ্য সরকার আগেই Student Credit Card চালু করেছিল পড়ুয়াদের জন্য। তাতে পড়ুয়ারা উচ্চশিক্ষার জন্য মাত্র ৪ শতাংশ হারে সুদের বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে সক্ষম দেশের যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক থেকে। সেই ঋণ পরবর্তী ১৫ বছর ধরে শোধ করা যায়। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণের জন্য আবেদন করা যায়। এবার আসছে ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’। বুধবার রাজ্য বিধানসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট(State Budget) পেশ করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেছেন ‘ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড’ চালু হতে চলেছে আগামী অর্থবর্ষ থেকে। সেই ক্রেডিট কার্ডের দৌলতে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী যুবক-যুবতী সংযুক্তি মূলক কর্মে ক্ষুদ্র উদ্যোগ সংস্থার স্থাপনের জন্য আর্থিক সহায়তা বাবদ ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ঋণ ব্যাঙ্ক থেকে পাবেন। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ প্রকল্প ব্যয়ের ১০% অর্থ হিসেবে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা প্রদান করবে এবং ১৫ শতাংশ পর্যন্ত গ্যারান্টি দেবে। আপাতত ২ লক্ষ যুবক-যুবতীর হাতে এই ক্রেডিট কার্ড তুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আর এই ক্রডিট কার্ড চালু হওয়ায় যারা Student Credit Card পাচ্ছিলেন না তাঁরাও লাভবান হবেন। কেননা এক্ষেত্রে এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে নিজের পায়ে যেমন তাঁরা দাঁড়াতে পারবেন তেমনি অনেক মানুষকে কাজও দিতে পারবেন। অর্থাৎ এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চলেছে রাজ্য সরকার। একদিকে তরুণ প্রজন্মকে স্বনির্ভর করে তোলা হচ্ছে অন্যদিকে কর্মসংস্থানও তৈরি করছে। এই কার্ডের জন্য এবারের বাজেটে আগামী অর্থবর্ষের জন্য ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। 

error: Content is protected !!