
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে জটিলতা চলছিল। তার মধ্যেই অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে উপাচার্যের পদ থেকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়াই আগামিকাল সমাবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপরেই এই পাল্টা সিদ্ধান্ত আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের। কোট মিটিং নিয়ে যে সিদ্ধান্ত তার পরেই বুদ্ধদেব সাউকে সরিয়ে দেওয়া হল। রাজভবন মনে করছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানছেন না উপাচার্য। অপসারণের পাশাপাশি উপাচার্যের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। সমাবর্তন করার কোনও অনুমতি ছিল না। তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড খরচ করেছেন উপাচার্য। সেই টাকা উপাচার্যের কাছ থেকে উসুল করা যাবে কিনা তা নিয়ে আইনি পরামর্শ নিচ্ছে রাজভবন। বিভিন্ন মহলের ধারনা সমাবর্তনের অনুমতি ছিল না রাজ্যপালের তরফে। সেই ‘নির্দেশ’ অমান্য করাতেই এমন সিদ্ধান্ত। অপসারণের খবর নিয়ে বুদ্ধদেব সাউ বলেন, আগামিকাল আড়াই হাজার পড়ুয়া ডিগ্রি দেওয়া হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। আইন অনুয়ায়ীই সেটা হয়েছে। যদি এমনটা হয়ে যায় তাহলে আপনারাই ভাবুন। শুনেছি সিকিউরিটির হাতে একটি চিঠি এসেছে। কী আছে ওই চিঠিতে তাদে দেখিনি। ফিরে গিয়ে দেখব। একটা চিঠি এসেছিল, কোট কনভোকেশন কববে না। এতদিন ধরে আমাদের সব কাগজপত্র তৈরি। আইন অনুযায়ী তারিখ লিখে ডিগ্রি দিতে হয়। সমাবর্তন না করলে আমাদের প্রায় আড়াই হাজার পড়ুয়া ডিগ্রি পাবে না। তাদের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। দেশ বিদেশে তারা চাকরি করছে। তার বলে রেখেছে ২৪ ডিসেম্বর তারা ডিগ্রি পাবে। সুতরাং ওই তারিখে তারা যদি ডিগ্রি না পায় তাহলে তাদের চাকরি জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। অনেকে চাকরি হারিয়ে ফেলবেন। অনেক জায়গায় অ্যাডমিশন বাতিল হয়ে যাবে। এভাবে আড়াই হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেওয়ার মতো মানসিকতা আমার নেই। তার জন্য যদি আমাকে জেলে যেতে হয় তো যেতে হবে। তবে যতদূর দেখেছি কোনও আইন ভাঙ্গা হচ্ছে না।