
‘ধর্ম রক্ষায় অস্ত্র হাতে তুলতেই হবে’, রামনবমীর মিছিলে হুঙ্কার সজল ঘোষের
অস্ত্র নিয়ে মিছিলে কলকাতা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে রামনবমীর প্রাক্কালে হাওড়ার সাঁকরাইলে হল সশস্ত্র মিছিল । আর সেই মিছিলের পরদিন অর্থাৎ রবিবার সকালে সেই অস্ত্রের মিছিলের পক্ষেই সওয়াল করলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ । তাঁর বক্তব্য, “ধর্মকে রক্ষা করতে হলে অস্ত্র হাতে তুলতেই হয় ।” রবিবার সকালে হাওড়ার কদমতলা থেকে রামরাজাতলার রামমন্দির পর্যন্ত রামনবমীর এক মিছিলে অংশ নেন সজল ঘোষ । তাঁর হাতে ছিল গেরুয়া পতাকা, মুখে ধর্মরক্ষার স্লোগান । ওই মিছিল থেকেই তিনি বলেন, “আমরা হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়, কিন্তু বারবার যদি আঘাত আসে, ধর্মের অপমান করা হয়, তখন আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র তো তুলতেই হবে ।” শনিবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, তারা রাজনীতি করার জন্য ধর্ম করে ৷ পালটা তাঁকে আক্রমণ শানিয়ে এদিন সজল ঘোষ বলেন, “যাঁরা ঈদের দিন হিন্দু ধর্মকে খারাপ ধর্ম বলে কটাক্ষ করেছিল, তাঁদের মুখে এখন হিন্দুত্বের বুলি মানায় না ।” তাঁর কথায়, “হিন্দুদের অস্তিত্ব যখন সংকটের মুখে, তখন অস্ত্রধারণ অপরিহার্য । শান্তিপূর্ণভাবে ধূমধাম করে রামনবমীর মিছিল হবে ৷ সারা ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গও আজ রামনবমী পালন করবে ৷ কয়েক কোটি মানুষ রামনবমীর মিছিলে অংশ নেবেন ৷” প্রসঙ্গত, রামনবমীর দিনে অস্ত্র-সহ মিছিল না করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । এই নির্দেশের পরও শনিবার হাওড়ার সাঁকরাইল, বেলুড়-সহ একাধিক এলাকায় হাতে তলোয়ার ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে রামনবমীর মিছিল বের করা হয় বলে অভিযোগ । আর তারপর এদিন সজল ঘোষের এই বক্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা । তৃণমূল শিবিরের দাবি, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়াতে চাইছে । যদিও বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের মতে, “এটি ধর্মীয় অধিকার রক্ষার প্রতীক, এর সঙ্গে উত্তেজনা ছড়ানোর কোনও সম্পর্ক নেই ।”