১০ দিন ধরে দেশজুড়ে তেরঙ্গা যাত্রা, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যে দেশজুড়ে প্রচার বিজেপির

‘অপারেশন সিঁদুর’ ও তার ভবিষ্যৎ পথনির্দেশ নিয়ে এক স্পষ্ট ও দৃঢ় বার্তা দিয়ে সোমবার জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণ শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির দু’দিন পর জাতিকে আশ্বস্ত করেছে তা-ই নয়, এই ইস্যুতে সারা দেশে বিজেপির প্রচারের সুরও নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার থেকে আগামী ১০ দিন ধরে সারা দেশে ‘তেরঙা যাত্রা’ (BJP Tiranga Yatra) শুরু করেছে বিজেপি। তার আগেই এদিন প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন করে দল স্পষ্ট বার্তায় জানায়- ভারতের অভিযান তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করেছে।
১৩ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত চলবে ‘তেরঙা যাত্রা’। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে বিভিন্ন প্রান্তে তেরঙা হাতে মিছিল করবে বিজেপি। এতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই যাত্রার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির অটল সংকল্প, সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞার বার্তা’। দেশব্যাপী প্রচারের অংশ হিসাবে রয়েছে বাইক ৱ্যালি, জনসভা, পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান এবং ভারতের বিভিন্ন শহরে জনসংযোগ কার্যক্রম।
রবিবার রাতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বাসভবনে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের দাবি, সেই বৈঠকেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘিরে বিজেপির পরবর্তী কৌশল চূড়ান্ত হয়। নির্দেশ ছিল- সেনাবাহিনীর সাফল্যকে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হবে, তবে কোথাও যেন বিজয়ের উল্লাস বা আত্মপ্রশংসার সুর না থাকে। এর সঙ্গে জোর দেওয়া হবে ‘দৃঢ়, সুরক্ষিত জাতীয়তাবাদ’-এর ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করে তোলার ওপর। সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর থাকায়, এই পর্যায়ে প্রচারের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই- এমনটাই জানা গিয়েছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ মহলে। সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য এবং মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়োর বক্তব্য কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়েও দলের অভ্যন্তরে প্রশ্ন ওঠে বলে সূত্রের দাবি। এই মন্তব্য ঘিরে বিরোধীপক্ষও সরব হয়।

error: Content is protected !!