৮ বছর ধরে আদিবাসী পরিচারিকাকে আটকে রেখে ক্রীতদাসী মতো অত্যাচার করার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপি নেত্রী

আদিবাসী গৃহ-পরিচারিকার ওপর ৮ বছর ধরে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ উঠলো ঝাড়খন্ডের বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্রের বিরুদ্ধে। ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। নেটিজেনদের চাপে গ্রেপ্তার করা হলো বিজেপি নেত্রীকে। দল থেকে তাঁকে বরখাস্তও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝাড়খন্ডে বিজেপি নেত্রীর নির্মমতার ছবি প্রকাশ্যে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় ঐ নেত্রী এক মহিলার উপর অকথ্য অত্যাচার করছেন। জানা গেছে ওই মহিলা বিজেপি নেত্রীর পরিচারিকা। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিচারিকা হাসপাতালে ভর্তি আছেন এখন। তাঁর সামনের কয়েকটি দাঁত নেই এবং বসতেও পারছেন না তিনি। তাঁর শরীর জুড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।  নির্যাতিতার অভিযোগ, তাঁর ওপর সীমা পাত্র নির্মম অত্যাচার চালাতেন। তাঁকে গরম তাওয়া ও রড দিয়ে মারা হয়েছে। সাথে দাঁতও ভেঙে দেওয়া হয়। তাঁকে বলা হয় কাজে ভুল করার জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। লোহার রড এমনকী গরম রান্নার বাসন শরীরে চেপে ধরতেন মালকিন, মাটিতে পড়া প্রস্রাব জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করাতেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে তাঁর ঠিক কী ভুল হয়েছে। বিজেপি নেত্রীর ছেলে আয়ুষ্মানের সহায়তায় তিনি বাঁচতে পেরেছেন। ভাইরাল ভিডিওতে এও শোনা যায় ২৯ বছরের সুনীতা বলছেন তিনি আরও পড়াশোনা করতে চান। এর আগে রাঁচি পুলিশ সীমার বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। গ্রেফতারি এড়াতে পালিয়ে যায় সীমা। সীমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরিচারিকাকে জিভ দিয়ে টয়লেট পরিষ্কর করতে বাধ্য করে সীমা। একই সঙ্গে ব্যাপক মারধর করে। অভিযোগকারী সুনীতা নামে ওই পরিচারিকা জানান, তাঁকে দিনের পর দিন শরীরের বিভিন্ন অংশে গরম ছ্যাঁকা দিয়ে পুড়িয়ে দিত বিজেপি নেত্রী সীমা পাত্র। সুনীতার শরীরে বহু ক্ষত মিলেছে। বিজেপি নেত্রীর ছেলে নিজের বন্ধুকে সুনীতার ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা বলেন। তাঁর বন্ধুই পুলিশে অভিযোগ করেন। যার ভিত্তিতে পুলিশ সুনীতাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে নির্যাতিতা রাঁচির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, শীঘ্রই তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হবে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই বিজেপি নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।