নতুন সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নে

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দরকার নতুন সরকার ৷ তাই পার্লামেন্ট ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন মার্ক কার্নে ৷ সেই সঙ্গে নতুন সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনের দিন ঘোষণা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ৷ আগামী ২৮ এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন দিন ধার্য হয় ৷ এক্স হ্যান্ডেলে করা একটি পোস্টে কানাডার প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “দেশের গভর্নর জেনারেলকে পার্লামেন্ট ভাঙার জন্য আবেদন জানিয়েছি ৷ আগামী ২৮ এপ্রিল দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৷” এরপর দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, “জি-৭’র সদস্য হিসেবে কানাডাকে আরও শক্তিশালী অর্থনীতি করে তুলতে হবে ৷ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ৷ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য যোগ্যপ্রার্থী বাছাইয়ের অধিকার রয়েছে কানাডাবাসীর ৷” দলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্বের কারণে জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন জাস্টিন ট্রুডো ৷ তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নেওয়া হয় মার্ক কার্নেকে ৷ লিবারেশন পার্টির সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর মার্চ মাসে কানাডার ২৪ তম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন মার্ক কার্নে ৷ তবে, ট্রাম্পের বর্ধিত শুল্কের মোকাবিলার জন্য় শুধু দলের নয়, সাধারণ কানাডাবাসীর ভোট চান মার্ক ৷ সেকারণে নির্বাচনের আগে ৫ সপ্তাহের নির্বাচনী প্রচারের ঘোষণা করেন তিনি ৷ জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর কানাডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্টের ৫১তম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৷ এ প্রসঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ট্রাম্প মনে করেন কানাডা কোনও দেশ নয় ৷ এই দেশটিকে ভেঙে আমেরিকার অধীনে করতে চান তিনি ৷ কিন্তু, তা কোনও মতেই হতে দেওয়া যাবে না ৷ সেকারণে, সকলে একত্রে এই নির্বাচনে লড়াই করতে হবে ৷” উল্লেখ্য, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে কানাডার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও চলতি বছরের নির্বাচনে বেশ খানিকটা পিছনে চলে যায় লিবারেশন পার্টি ৷ কূটনীতিকদের মতে, জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতায় থাকাকালীন এই অবক্ষয় হয় দলের ৷ ফলে, কানাডাবাসীর মনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে কনজারভেটিভরা ৷ অবশ্য, মার্ক কার্নে দলের পুরনো সেই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের একাংশের ৷

error: Content is protected !!