এসএসসি নিয়োগ কাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের সংস্থার কর্তা

নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের জালে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বেসরকারি সংস্থার এক পদস্থ কর্তা। সিবিআই সূত্রের খবর, ধৃতের নাম নীলাদ্রি দাস। তিনি নাইসা (Nayassa) নামে ওই সংস্থার বড় কর্তা। সিবিআই তদন্তে নেমে জানতে পারে, ওই সংস্থাটি ওএমআরও শিট পুনর্মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। এর আগে বেশ কয়েক দফায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নীলাদ্রিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওএমআর শিট বিকৃত করার বিষয়টি সিবিআই সূত্রেই সামনে আসে। আদালতে প্রশ্ন ওঠে, কেন গাজিয়াবাদের ওই বেসরকারি সংস্থাকে ওএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের বরাত দেওয়া হয়েছিল। আদালতের নির্দেশেই সিবিআই গাজিয়াবাদে উড়ে গিয়েছিল তদন্ত করতে। সেখানে গিয়ে তারা বিস্তর অনিয়মের কথা জানতে পারে। ওই সংস্থার সার্ভারে এবং বিধাননগরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে চাকরিপ্রার্থীদের নম্বরের বিস্তর হেরফের ধরা পড়ে। কোথাও যোগ্য প্রার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, আবারয় কোথাও অযোগ্যদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য কথা মতোই এসএসসি-র নথিতে থাকা অকৃতকার্য প্রার্থীদের নম্বর যেভাবে বাড়ানো হত, ঠিক তেমনই NYSA-র হেফাজতে থাকা নথিতেও সেই প্রার্থীর নম্বর একইভাবেই বাড়িয়ে দেওয়া হত।নম্বর বাড়ানোর পর, নতুন তথ্যও এসএসসি-র হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল ওএমআর শিট মূল্যায়ণকারী বেসরকারি ওই সংস্থার অফিসার নীলাদ্রি দাসের। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে দীর্ঘক্ষণ জেরার পর নিলাদ্রীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের সূত্রে দাবি, গ্রুপ-সির ৩৪৮১ টি, গ্রুপ-ডির ২৮২৩ টি, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৫২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯০৭টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়।

error: Content is protected !!