৫ উইকেটে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস

লখনউ সুপার জায়ান্টস: ১৬৬/৭ (মার্শ-৩০, পন্থ-৬৩, জাদেজা- ২৪/২, পাথিরানা- ৪৫/২)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৬৮/৫ (রাচীন-৩৭, দুবে-৪৩*, ধোনি-২৬*, বিষ্ণোই- ১৮/২)
৫ উইকেটে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস

লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন মাহি। তাঁর চোখের সামনে পন্থকে তাঁরই পছন্দের ‘হেলিকপ্টার শট’ মারতে দেখেছিলেন ধোনি। জবাব দিলেন এক হাতে ছক্কা মেরে। লখনউয়ের তোলা ১৬৬ (৭ উইকেটে) চেন্নাই টপকে গেল পাঁচ উইকেট হারিয়ে। পাঁচ হারের ধাক্কা কাটিয়ে অবশেষে জয়ে ফিরল চেন্নাই। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘ দিন বাদে দেখা গেল ফিনিশার ধোনিকে। শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে এলেন। তবে ম্যাচ শেষে হালকা খোঁড়াতে দেখা গেল তাঁকে। এত ধকলের পর হাঁটুর পুরনো চোট চাগাড় দিতেই পারে। তা কতটা গুরুতর, সেটা অবশ্য সময়ই বলবে।টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সময় আরও এক বার দলের খামতিগুলি উল্লেখ করেছিলেন ধোনি। ম্যাচে দেখা গেল, বেশির ভাগ খামতিই পূরণ করে ফেলেছে দল। তবে মিডল অর্ডার নিয়ে সমস্যা এখনও রয়ে গিয়েছে। প্রতি ম্যাচে ধোনি আর শিবম দুবে ম্যাচ জেতাবেন না। আগে ব্যাট করতে নেমে এডেন মার্করাম, নিকোলাস পুরান, মিচেল মার্শ- লখনউয়ের মারকুটে ব্যাটারেরা ব্যর্থ হওয়ায় মঞ্চটা যেন তৈরিই ছিল পন্থের সামনে। রানে ফেরার জন্য এর থেকে ভাল সময় আর হত না। পন্থ সেটা ভাল ভাবে কাজে লাগালেন। মার্শের অনুপস্থিতিতে আগের ম্যাচে ওপেন করতে নেমে দুঃসাহসী শট খেলতে গিয়ে গড়াগড়ি খেয়েছিলেন। এ দিনও দুঃসাহসী শট ছিল একটি-দু’টি। তবে ৪৯ বলে ৬৩ রানের ইনিংসের বেশির ভাগটাই ছিল হিসেবি ক্রিকেট। যেখানে অহেতুক ঝুঁকি নেওয়া, দ্রুত রান তোলার মতো তাগিদ ছিল না। বরং পরিস্থিতি মাথায় রেখে দলকে সাহায্য করার একাগ্রতা ছিল।পন্থ ব্যাট করতে নামার সময় দু’উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ছিল লখনউ। সেই সময়ে আগ্রাসী হয়ে উইকেট খোয়ালে দল আরও চাপে পড়ত। পন্থ সেই রাস্তায় হাঁটেননি। প্রথম চার মারেন তৃতীয় বলে। জেমি ওভার্টনকে ছয় মেরে দলের রান ৫০ পার করেন। সেই ছয়ও হয় রিভার্স স্কুপে। এর পরে দু’-একটি চার মারলেও বাকি সময় খুচরো রান নেওয়ার দিকে নজর দেন। মন্থর পিচে রান তোলা সহজ ছিল না। পন্থ নিজেও সেই চেষ্টায় যাননি। নুর আহমেদ বিপজ্জনক হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তাঁর ছ’টি বলে কোনও রান নেননি পন্থ। মাথিশা পাথিরানাকে ১৮তম ওভারের প্রথম বলে যে ছয়টা মারলেন, তা অবাক করে দিল ধোনিকেও। মাহিরই ‘হেলিকপ্টার শটে’ বল গ্যালারিতে পাঠালেন পন্থ। ধোনি তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেন। সেই ওভারেই আর একটি ছয় মেরে অর্ধশতরান এল। তাঁর ক্যাচও ফেললেন শেখ রশিদ। শেষে সেই ধোনির হাতে ক্যাচ দিয়েই ফিরতে হল লখনউ নেতাকে।

error: Content is protected !!