অপারেশন সিন্দুরের বিষয় রাষ্ট্রপতিকে বিস্তারিত জানালেন ৩ বাহিনীর প্রধানরা

পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত, পাকিস্তানের প্রশয়ে গড়ে ওঠা জঙ্গি শিবির চুরমার করা হল, বুধবার তা দেশের ‘কমান্ডার-ইন-চিফ’ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে বিস্তারিত জানাল প্রতিরক্ষার তিন স্তম্ভ। স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা প্রধান এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে জানালেন অপারেশন সিন্দুরের সাফল্যর বিস্তারিত। রাষ্ট্রপতি সেনাকর্তাদের বলেন, গোটা দেশ আপনাদের জন্য গর্বিত। সন্ত্রাসবাদ শেষ করার লক্ষ্যে নিখাদ সাফল্য পেয়েছে আপনাদের অপারেশন। লিখিতভাবেও রাষ্ট্রপতিকে ‘অপারেশন সিন্দুরে’র তথ্য তুলে দেওয়া হয়। কারণ, পদাধিকার বলে তিনিই হলেন তিন বাহিনীর প্রধান। কমান্ডার ইন চিফ।  অন্যদিকে, অপারেশন সিন্দুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজনীতিকরণ করছেন বলেই ফের সরব হল কংগ্রেস। আগামী ২৫ মে এনডিএ শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য নিয়ে আলোচনায় বসছেন মোদি। এই খবর পেয়েই খড়্গহস্ত খাড়্গের দল। এদিন বিকেলে বিশেষ বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেস। চেকআপের জন্য কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বৈঠকে ছিলেন না। সভাপতিত্ব করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে ঠিক হয়, আগামী কাল শুক্রবার উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রাহুল। বৈঠকের পর কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ এবং পবন খেরার প্রশ্ন, পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাতে বিরোধীরা সরকারের সঙ্গে। অথচ প্রধানমন্ত্রী অপারেশন সিন্দুর নিয়ে রাজনীতি করছেন। কেন বাংলা, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এমনকী জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকছেন না মোদি? কোন শর্তে সংঘর্ষবিরতি? কেনই বা সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না? মোদিকে তার উত্তর দিতেই হবে। 

error: Content is protected !!