বাগুইআটির দুই ছাত্র ‘খুন’ কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, ‘ক্লোজ’ আইসি

দুই পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক তদন্তের দাবিতে বাগুইআটি থানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা ৷ তাঁরা থানার ভেতরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন । ইতিমধ্যে বাগুইআটি কাণ্ডে হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সূত্রের দাবি, এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্য়ের প্রশাসনিক প্রধান ৷ বুধবার জোড়া খুনে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পাশাপাশি, বাগুইআটি থানার আইসি-কেও ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে ৷ গত মাসের ২২ তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর নামে দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । এরপরেই তাদের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসে । বিষয়টি নিয়ে দুই ছাত্রের পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয় । কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবেই সাহায্য করেনি অপহৃত ওই ছাত্রদের খুঁজে বের করতে ৷ সোমবার রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে । মঙ্গলবার দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা তাদের দেহ শনাক্ত করেন ৷ এই ঘটনায় পুলিশের উপর ক্ষোভ বেড়েছে দুই ছাত্রের পরিবার ও এলাকাবাসীর ৷ জানা গিয়েছে, দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার হয় ২৩ অগাস্ট, আরেকজনের ২৫ অগাস্ট ৷ তারপর থেকে দেহ দুটি বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকলেও কেন পুলিশের সেই খোঁজ পেতে এতদিন সময় লাগল, সেই প্রশ্ন উঠেছে ৷ জানা গিয়েছে, অতনু দে বাইক কেনার জন্য সত্যেন্দ্র চৌধুরীকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয় । পরে আরও টাকার দাবি করে সত্যেন্দ্র । সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে অতনু । এরপর ২২ অগাস্ট বাইক কেনার জন্য অতনু দে ও অভিষেক নস্করকে ডেকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যায় সত্যেন্দ্র চৌধুরী । তারপর থেকে অতনু এবং অভিষেক- দু’জনেই নিখোঁজ হয়ে যায় । পুলিশের দাবি এরপরেই খুন করা হয় ওই দুই ছাত্রকে ৷ এরা সম্পর্কে মামাতো ও পিসতুতো ভাই ।

error: Content is protected !!