নির্দেশিকায় নেই জাতভিত্তিক গণনার উল্লেখ নেই, প্রধানমন্ত্রী মোদি সংরক্ষণ বিরোধী! কটাক্ষ জয়রাম  রমেশের  

জনগণনা শুরু হওয়া সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়েছে ৷ কিন্তু তাতে জাতভিত্তিক গণনার উল্লেখ নেই ৷ তাহলে কি মত বদলে ফেললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ তথা দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ৷ সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গেজেট নোটিশ জারি করে দু’দফায় জনগণনার কথা জানিয়েছে ৷ এই নোটিশ জারির মধ্যে দিয়েই এদিন জনগণনার প্রক্রিয়ার সূচনা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে ৷নোটিশর জারির পরপরই জাতিভিত্তিক গণনার কথা উল্লেখ করা হয়নি বলে সরব হন রমেশ ৷ তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার জনগণনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও বাজেটে বরাদ্দ করেনি ৷ রমেশ সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, “আজকের নির্দেশিকায় শুধুমাত্র জনগণনার কথা বলা হয়েছে ৷ 2026 সালের অক্টোবরে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে হবে ৷ দেশের বাকি অংশের জনগণনা 2027 সালের মার্চ মাসে হবে ৷ এখানে জাতিভিত্তিক গণনার কথা বলা নেই ৷ তাই আমার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কি ফের তাঁর মত বদল করেছেন ? নির্দেশিকায় জাতিভিত্তিক গণনার উল্লেখ নেই কেন ?” তাঁর কথায়, “একটা সাধারণ জনগণনা করতে গেলে 9 হাজার থেকে 10 হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হয় ৷ সরকার নিজেই একথা স্বীকার করেছে ৷ এদিকে 2025-26 অর্থবর্ষে সেনসাস কমিশনারের জন্য মোট বরাদ্দ মাত্র 575 কোটি টাকা ৷ তাহলে বাকি টাকা কোথা থেকে আসবে ?” রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশের সওয়াল, মণ্ডল কমিশনের বিরোধিতার কথা তুলে বিজেপি সবসময় সংরক্ষণের বিরোধিতা করেছে ৷ তাঁর বক্তব্য, “1991 সালের অগস্টে মণ্ডল কমিশনের জন্য বিজেপি ভিপি সিংয়ের সরকারের থেকে সমর্থন তুলে নেয় ৷ মণ্ডল বিক্ষোভের পাল্টা কমণ্ডল বিক্ষোভ শুরু করে ৷ “কংগ্রেস নেতা প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে অতীতে জাতিভিত্তিক জনগণনার বিরোধিতা করার প্রসঙ্গও এদিন টানেন ৷ প্রধানমন্ত্রী এই জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিদারদের ‘শহুরে নকশাল’ বলে দাগিয়েছিলেন ৷ রমেশের কথায়, ” মোদি বরাবর জাতিভিত্তিক জনগণনার বিরোধিতা করে এসেছেন ৷ 2024 সালের 28 এপ্রিল তিনি জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিদারদের শহুরে নকশাল বলে উল্লেখ করেছিলেন ৷ 2021 সালের 21 সেপ্টেম্বর বিজেপি সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে জানিয়েছিল, তারা জাতিভিত্তিক জনগণনার বিরুদ্ধে ৷ এই গণনা করার কোনও ইচ্ছা তাদের নেই ৷”