সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে প্রেমিক সুশান্তের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল বহরমপুর আদালত
সুতপা চৌধুরী হত্যাকাণ্ডে তাঁর প্রেমিক অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিল আদালত৷ মঙ্গলবারই সুশান্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বহরমপুর জেলা জজ আদালতের বিচারক সন্তোষ কুমার পাঠক। ২০২২ সালের ২ মে বহরমপুরের কাত্যায়নীর গলিতে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে নৃংশভাবে খুন করে প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরী। সিসিটিভি ফুটেছে ধরা পড়ে হাড় হিম করা সেই খুনের ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইলে তোলা খুনের ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। ওই দিন রাতেই সামশেরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুশান্তকে। এরপর বহরমপুর জেলা জজ আদালতে চলতে থাকে এই খুনের মামলা। মেয়ের খুনির মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনে ছবি নিয়ে মালদহের বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুতপা চৌধুরীর মা পাপুলি চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘গত ২৪ অগাস্ট মেয়ের ছবিতে মালা দিয়ে জন্মদিন পালন করেছি। ফাঁসির সাজা চেয়েছিলাম। কিন্তু, বুকের শূন্যতা কখনই কাটবে না। যিনি সন্তান হারিয়েছেন, শুধু তিনিই বুঝবেন আমার যন্ত্রণা। বিচারব্যবস্থা ও সংবাদ মাধ্যমকে কুর্নিশ জানাই। ওঁকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম। ও যেন আমার বড় ছেলে ছিল। সাজার অপেক্ষায় ছিলাম।’ মঙ্গলবার বহরমপুর জেলা জজ আদালতের বিচারক ৩১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের ভিত্তিতে সুশান্ত চৌধুরীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। যে অনলাইন শপিং অ্যাপ থেকে সুশান্ত খেলনা বন্দুকটি কিনেছিল, সেই সংস্থার নোডাল হেড ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।বিচারকের কাছে তুলে ধরেন সারকরি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে সিসিটিভি ফুটেজের মতো তথ্যপ্রমাণ বিকৃত বা মুছে ফেলা যায় না৷ ২০২২ সালের ২ মে বহরমপুরের কাত্যায়নীর গলিতে কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে নৃসংশভাবে খুন করে প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরী। সিসিটিভি ফুটেছে ধরা পড়ে হাড় হিম করা সেই খুনের ঘটনা।