শহরাঞ্চল ছেড়ে অন্য জেলায় পোস্টিং, সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের নামলেন জুনিয়র ডাক্তার দেবাশীষ-অনিকেতরা

ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আরজি কর আন্দোলনের তিন প্রধান মুখ দেবাশীষ হালদার, অনিকেত মাহাতো ও আশফাকুল্লাহ নাইয়া। আবারো রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামলেন তাঁরা। শহরাঞ্চল ছেড়ে অন্য জেলায় পোস্টিংয়ের বিরোধিতা জানাতে এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনজনে। মামলা ডায়েরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফ থেকে। শুনানির তারিখ আগামী ৫ই জুন। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন যে জুনিয়র ডাক্তার বনাম রাজ্য সরকারের এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে ঘিরে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল গোটা বাংলায়। শাসকদলের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সাথ দিয়েছিলেন বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের একাংশ। অনশনে বসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও আন্দোলন দমিয়ে রাখা যায়নি। এখনো অভয়াকে ন্যায্য বিচার দেওয়ার লড়াই চলছে। তাঁর পরিবার আজও সুবিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। এই আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন দেবাশীষ হালদার, অনিকেত মাহাতো, আশফাকুল্লাহ নাইয়া ও কিঞ্জল নন্দ। মাঝেমধ্যেই তাঁদের পড়তে হতো সরকারের ক্রোধের মুখে। একাধিক অভিযোগ তোলা হয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে, যা অস্বীকার করেছিলেন তাঁরা এবং জানিয়েছিলেন যে শাসকদল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। তবে এবার তাঁরা পড়ে মোক্ষম প্যাঁচে। শহরাঞ্চলের পরিবর্তে অনিকেত-দেবাশীষ-আশফাকুল্লাকে পোস্টিং দেওয়া হয় অন্য জেলায়। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মানুষকে এর বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠানোর আহ্বান জানানো হয় জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফ থেকে। এবার এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তিনজনেই দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। তিনজনেই লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তাঁদের গ্রামাঞ্চলে পরিষেবা দিতে কোন সমস্যা নেই বোঝাতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ তাঁরা দায়ের করতে পারবেন মামলা। শুনানি হবে আসন্ন জুন মাসের ৫ তারিখে।

error: Content is protected !!