
খুলে গেল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দরজা, সোনার ঝাড়ু উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দিলেন বিরাট বার্তা
অবশেষে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। দুপুর ৩টে বেজে ১৫ মিনিট৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই হল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন৷ খুলে গেল মন্দিরের দরজা। মন্দিরের দ্বার উন্মোচন হতেই সামনে দেখা দিলেন জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা। সামনে প্রভুর উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভোগ। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গেল পুজোর থালা হাতে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে সোনার ঝাড়ু উপহার দিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রথযাত্রার সময় সোনার ঝাড়ু দিয়ে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের যাওয়ার রাস্তা ঝাঁট দেওয়া হয়। এটাই রীতি। ওই সোনার ঝাড়ু তৈরির জন্য নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আগেই ৫,০০,০০১ টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দিরে আসার জন্য সকলকে আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মন্দিরের প্রসাদে কী পাবেন ভক্তরা তারও আভাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘‘সবাই আসুন। এই মন্দির সকলের জন্য। এরপর মন্দিরের সময়ানুযায়ী সবাই আসবেন। ভোগ পাবেন, গজা, পেঁড়া পাবেন। অতিথিদের আজ দেখানো হবে। প্রসাদ ও ছবি তাদের দেওয়া হবে। INC বিভাগকে বলব বাংলার সব বাড়ি ও দেশের বিশিষ্টদের কাছে প্রসাদ ও ছবি পাঠাতে। সারা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হোক। মন্দির মা মাটি মানুষকে উৎসর্গ করব।’’ বুধবার মন্দির উদ্বোধনের সময় বলেন, সব ধর্মের লোক এসেছে এই দিঘার জগন্নাথধামে। স্থানীয়দের সাহায্য পেয়েছি, সেলেব-শিল্পপতি সবাইকে ধন্যবাদ। সনাতন ব্রাহ্মণ ধর্ম, আদ্যাপীঠের মহারাজ, স্বামীজির বাড়ি, বেলুড় মঠ, জয়রামবাটি, কামারপুকুর, কালীঘাট, ইসকন, পুরীর দ্বৈতপতি সবাই এসেছেন। সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষ এসেছেন। হিডকোর সকলকে অভিনন্দন। যাঁরা এই কাজ করেছেন সকলকে ধন্যবাদ। মমতা আরও বলেন, “সকলেই ভোগ পাবেন। গজা, প্যারা, খাজার দোকান হচ্ছে। মন্দিরের ছবি, প্রসাদ সারা বাংলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। গোটা দেশে যাঁরা ভালোবাসেন তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। ইসকন ভোগের ব্যবস্থা করবে রোজ। সারা বিশ্বে শান্তিকামনা করে জগন্নাথ মন্দিরে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, প্রায় ২০ একর এলাকা জুড়ে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে ৫০০-র বেশি গাছ বসানো হয়েছে। নাটমন্দিরটি দাঁড়িয়ে রয়েছে ১৬টি স্তম্ভের উপরে। মূল মন্দিরে রয়েছে ভোগমণ্ডপ, নাটমন্দির, জগমোহন এবং গর্ভগৃহ। ভিতরে সিংহাসনে রয়েছে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি। নিমকাঠের তৈরি মূল বিগ্রহের পাশাপাশি পাথরের মূর্তিও রয়েছে। এ ছাড়া, রয়েছে রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহও।