
ভোট মিটতেই ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশনের
ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ‘ক্ষতিকারক ব্যাখ্যা’ হতে পারে ৷ এবার সেই আতঙ্কে বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের সমস্ত তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন ৷ ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পর ফলাফল নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের না-হলে, ৪৫ দিনের মধ্যে সমস্ত ভিডিয়োর ফুটেজ মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন ৷ এর মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের পাশাপাশি ওয়েব কাস্টিং থেকে প্রাপ্ত ফুটেজও আছে ৷ গত ৩০ মে দেশের প্রতিটি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে কমিশনের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় ৷ চিঠিতে, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়গুলিকে একাধিক ইলেকট্রনিক পদ্ধতির মাধ্যমে ‘রেকর্ড’ করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ আরও নির্দেশ দেওয়া হয়, ফটোগ্রাফি, ভিডিয়োগ্রাফি, সিসিটিভি এবং ওয়েবকাস্টিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রতিটি পর্যায়ের তথ্য জমা রাখতে হবে ৷ যদিও, নির্বাচনী আইনে এই ধরনের রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক নয় ৷ তবে, অভ্যন্তরীণ কারণে এই নির্দেশ দেওয়া হয় কমিশনের তরফে ৷ এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে এই সমস্ত তথ্যগুলির অপব্যবহার করে সোশাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য থেকে শুরু করে ক্ষতিকারক ব্যাখ্যা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না, এমন ব্যক্তিদের সাহায্যে বিভিন্ন মাধ্যমে এই সমস্ত তথ্যের অপব্যবহার করা হচ্ছে ৷ সেই কারণে এই বিষয়ে কোনও আইনি পদক্ষেপও করা যাচ্ছে না ৷ তবে, কমিশনের তরফে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে ৷ পর্যালোচনার পরই ৪৫ দিনের জন্য সমস্ত তথ্য সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের তরফে ৷ সেই সঙ্গে কমিশন জানায়, নির্বাচনী ফলাফল সংক্রান্ত কোনও মামলা দায়ের না হলে ৪৫ দিন পর সমস্ত তথ্য মুছে ফেলতে হবে ৷ তথ্যের অপব্যবহার রোধ করার জন্য গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ওয়েবকাস্টিং ফুটেজের তথ্য পর্যলোচনার বিষয়ে নির্বাচনী নিয়মে পরিবর্তন আনা হয় ৷ নির্বাচন কমিশনের সুপারিশে, নির্বাচন পরিচালন বিধি সংক্রান্ত আইনের ৯৩ ধারাটি সংশোধন করা হয় কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের তরফে ৷