দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় থেকে শুরু করে বিজেপি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকগুলির দায়িত্বে থাকা মন্ত্রীদের অধিকাংশই বিদেশে পড়াশোনা করেছেন ৷ তাঁরা বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়ুয়া ৷ এমন একটি দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ইংরেজি ভাষায় কথা বলা লজ্জাজনক’ মন্তব্যটি দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি করেছে ৷ তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনার খতিয়ান তুলে ধরেছেন ৷ কংগ্রেস সাংসদ রাহুলের পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কেরলের দুই মন্ত্রী আর বিন্দু ও ভি শিবনকুট্টিও শাহের কড়া সমালোচনা করেছেন ৷ রাহুল গান্ধি পোস্টে লিখেছেন, “ইংরেজি বাঁধ নয়, সেতু ৷ ইংরেজি লজ্জা নয়, শক্তি ৷ শৃঙ্খলা নয়, বন্ধন ভাঙার হাতিয়ার ৷” বিজেপি-আরএসএস-এর ইংরেজি-বিরোধী মানসিকতার উল্লেখ করে রাহুল লিখেছেন, “বিজেপি-আরএসএস চায় না, দেশের গরিব শিশুরা ইংরেজি শিখুক ৷ কারণ তারা চায় না যে, আপনারা প্রশ্ন করুন, এগিয়ে যান এবং দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠা হোক ৷ বর্তমানে বিশ্বে ইংরেজি ভাষা একজনের মাতৃভাষার মতোই গুরুত্বপূর্ণ ৷ এই ভাষা শিখে মানুষ চাকরিতে সুযোগ পায় ৷ তাঁর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় ৷ ভারতের প্রতিটি ভাষার একটি আত্মা আছে, সংস্কৃতি ও জ্ঞান আছে ৷ আমাদের তা স্মরণে রাখতে হবে এবং একই সময়ে প্রতিটি শিশুকে ইংরেজি শেখাতে হবে ৷ এই রাস্তা দিয়েই একজন ভারতীয় বিশ্বের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ৷ প্রত্যেক শিশুকে সমান সুযোগ দেয় ৷” এই পোস্টের সঙ্গে একটি ভিডিয়োয় রাহুল অন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশোনা করেছেন, এমন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের তালিকা তুলে ধরেছেন ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন- উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জিতেন্দ্র সিং, শিবরাজ সিং চৌহান, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, ধর্মেন্দ্র প্রধান, এমনকী বিজেপি সভাপতি তথা মন্ত্রী জেপি নাড্ডা ও অন্যরাও ৷ এদিনই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান’-এর কথা তুলে ধরেছেন ৷ তিনি ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, “ভারতের ৯৭ শতাংশ মানুষ সংবিধান স্বীকৃত ২২টি ভাষার মধ্যে একটি ভাষায় কথা বলে ৷ ভারতে 19 হাজার 500টি ভাষা ও উপভাষা (ডায়ালেক্ট) আছে ৷ এটাই আমাদের মহান দেশের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ৷ অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং তাদের গ্য়াং এটা কোনও দিন বুঝতে পারবে না ৷”