অসমে ভোটের পর বিজেপি বিধায়কের গাড়ি থেকে ইভিএম উদ্ধার, সাসপেন্ড চার নির্বাচনকর্মী, ভাইরাল ভিডিও

ইভিএম নিয়ে বারেবারেই নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে বিরোধীরা। পোস্টাল ব্যালট ফিরিয়ে আনার দাবিও তোলা হয়েছে। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির একাধিক অভিযোগ সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন আস্থা রেখেছে ইভিএমেই। তবে এবার অসমে দ্বিতীয় দফার ভোটের পর ফের শিরোনামে ইভিএম মেশিন। অসমের করিমগঞ্জে বিজেপি বিধায়কের গাড়ি থেকে ইভিএম উদ্ধার। এই ঘটনায় তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ভোটকর্মীদের গাড়িতে বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের উপস্থিতিতে নয়, ইভিএম মেশিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের গাড়িতে। বৃহস্পতিবার জানা যায়, অসমের করিমগঞ্জে ভোটকর্মীরা এক বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ইভিএম নিয়ে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার সংশ্লিষ্ট রতাবাড়ি কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে চার ভোটকর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। যে বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে ইভিএম তোলা হয়েছিল, তাঁর নাম কৃষ্ণেন্দু পাল। তিনি পাথারকান্দি কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। বৃহস্পতিবার অসমে দ্বিতীয় পর্বের ভোট হয়। ভোট পড়েছে ৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে করিমগঞ্জ বাদে আর কোথাও অশান্তি হয়নি। করিমগঞ্জে গোলমালের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে শেয়ার করেছেন। করিমগঞ্জের রতনগিরি অঞ্চলের একটি বুথে ভোটকর্মীদের জন্য নির্বাচন কমিশন যে গাড়িটি বরাদ্দ করেছিল, তা খারাপ হয়ে যায়। ভোটের শেষে প্রিসাইডিং অফিসার সেক্টর অফিসারকে বিকল্প গাড়ির ব্যবস্থা করতে বলেন। কোনও অজ্ঞাত কারণে ভোটকর্মীরা একটি বেসরকারি গাড়িতে ওঠেন। ঘটনাচক্রে ওই গাড়ির মালিক ছিলেন কৃষ্ণেন্দু পাল। ভোটকর্মীরা স্ট্রং রুমের কাছাকাছি যেতেই বিরোধী দলের সমর্থকরা তাঁদের গাড়িটি চিনতে পারেন। তাঁরা গাড়িটি ঘিরে ধরেন। আশপাশে যে পুলিশকর্মীরা ছিলেন, তাঁরা ভয়ে পালিয়ে যান। পরে জেলা প্রশাসন সেখানে বড় পুলিশবাহিনী পাঠায়। তারা উত্তেজিত জনতাকে হটিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। বিরোধীরা পরে দাবি করেন, বিজেপি ভোটযন্ত্র দখল করতে চাইছে। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ বলেন, ‘একমাত্র ইভিএম চুরি করেই বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারে।’ এআইইউডিএফের বদরুদ্দিন আজমল বলেন, বিজেপি মেরুকরণ করে ভোটে জেতার চেষ্টা করেছে। ভোট কিনতে চেয়েছে। সিএএ নিয়ে দু’রকম কথা বলেছে। তাদের সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে টুইট করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাছাড়া ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে জাতীয় দলগুলিরও গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তাভাবনা করা উচিত। দেখুন সেই ভিডিও –

https://twitter.com/atanubhuyan/status/1377684745023221765
error: Content is protected !!