জনপ্রিয় টলি অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় প্রয়াত

প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর ৷ রাত ১.১০ মিনিটে তিনি প্রয়াত হয়েছেন ৷ কলকাতায় প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। গত দু’তিনদিন ধরেই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। গতকাল সেরকমই একটি সিরিয়ালের শ্যুটিং করছিলেন। সেখানেই অসুস্থ বোধ করেন। এরপর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটলে তড়িঘড়ি আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে ফেরেন তিনি। রাতের দিকে সেখানেই বার বার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হলেও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি তিনি।নিজের বাড়িতেই চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর স্যালাইনও চলে বলে জানা যায়। তবে খুব একটা সময় দিলেন না অভিনেতা, কিছুক্ষণের মধ্যেই সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এরপরই রাত ১টা ১০মিনিট নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে আর শেষরক্ষা করা যায়নি। এই মুহূর্তে তার দেহ বাড়িতেই রয়েছে৷ আজই সম্ভবত শেষকৃত্য হবে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। একাধিক জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্রে ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন প্রয়াত এই অভিনেতা ৷ প্রসঙ্গত, ১৯৬৪ সালের ৩০ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি পথভোলা। একটা সময়ে নিয়মিত সিনেমার কাজ করেছেন অভিষেক। একাধিক জনপ্রিয় বাংলা ছায়াছবিতে সেইঅ ছবিগুলি সুরের আকাশে, লাঠি, সবার উপরে মা, তুফান, ইন্দ্রজিৎ, সখী তুমি কার, দান প্রতিদান, ভাই আমার ভাই, মায়ার বাঁধন, আপন হল পর-সহ একাধিক ছবিতে তিনি নায়কের ভূমিকায় দশকের পর দশক ধরে অভিনয় করে মানুষের মন জয় করেছেন ৷ টালিগঞ্জের প্রিয় অভিনেতা সবার কাছে মিঠুদা নামেই পরিচিত ছিলেন ৷ শ্যুটিং ফ্লোরে তিনি সবার প্রিয় মিঠুদা ছিলেন ৷ দর্শকদের মনের কাছাকাছি এক্কেবারে প্রতিদিন তাঁদের ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করেছিলেন ৷ সম্প্রতি তিনি মোহর, খড়কুটো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন ৷  ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছিল। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া। 

error: Content is protected !!