কেরলের মন্দিরে অনুষ্ঠান চলাকালে মজুত রাখা আতশবাজি থেকে বিস্ফোরণ, অগ্নিকাণ্ডে জেরে আহত ১৫০

কেরলের মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালে দুর্ঘটনা। আতশবাজি বিস্ফোরণের জেরে অগ্নিকাণ্ডে জখম অন্তত ১৫০ জন। আহতদের মধ্যে দশ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার রাতে নীলেশ্বরমের কাছে ভিরাকাভু মন্দিরে ধর্মীয় আচার ‘থিয়াম’ আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সময় ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। হঠাৎই মন্দিরের বাজির গুদামে কোনওভাবে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখান থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দর্শনার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। এর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে শতাধিক দর্শনার্থী আহত হন। তাঁদের বেশিরভাগই আগুনে পুড়ে জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার কাসারগোড়ের জেলাশাসক জানিয়েছেন, গুরুতর আহতদের অনেকের শরীর ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ১০৮ জনকে কাসারগোড়, কান্নুর, কোঝিকোড় ও কর্ণাটক জেলার মেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী কারণে বাজির গুদামে আগুন লাগল, তা নিয়ে পুলিসের তরফে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাজির প্রদর্শনীর সময় একটি বাজি ছিটকে গুদামের দিকে চলে যায়। নীলেশ্বরম পুলিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার পর মন্দির কমিটির আটজন সদস্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, কংগ্রেস নেত্রী তথা ওয়েনাড় আসনে উপ নির্বাচনের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মঙ্গলবার এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্ট মারফৎ আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি। প্রতি বছর অক্টোবরে কেরলের মালাবার এলাকার মন্দিরগুলিতে থিয়াম আয়োজিত হয়। সেখানে শিল্পীরা বিশেষ সাজে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। সোমবার রাতে ওই অনুষ্ঠান দেখতে ভিরাকাভু মন্দিরে মহিলা, শিশু সহ কয়েক হাজার মানুষ এসেছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের ভিডিওতে দুর্ঘটনার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। আতঙ্কিত দর্শনার্থীরা যে যেদিকে পারেন দৌড়াতে শুরু করেন।  জেলাশাসক জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর দেখা গিয়েছে, যেখানে বাজি ফাটানো হচ্ছিল আর যে জায়গায় বাজি রাখা হয়েছিল, সেই জায়গা দুটি খুব কাছাকাছি ছিল। এর জেরেই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মন্দির কর্তৃপক্ষ বাজি মজুত করার জন্য অনুমতিও নেয়নি বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।