
অভিজাত আবাসনেই চলত শুটিং, দিল্লিতে ফাঁস বড়সড় পর্ন চক্র, তদন্তে ইডি
নয়ডায় এক বিরাট অনলাইন পর্নোগ্রাফি র্যাকেটের সন্ধান মিলল। যার মাথায় এক দম্পতি। বিদেশ থেকে আসা টাকায় ব্যবসা চলছিল রমরমিয়ে। এমনই দাবি ইডির। শনিবার ওই দম্পতির ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ১৫.৬৬ কোটি টাকার বেআইনি বিদেশি ‘ফান্ডিং’-এর সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সংস্থা (ইডি)। তদন্তকারীদের দাবি, বিপুল টাকার লোভ দেখিয়ে বহু মেয়েকে পর্নদুনিয়ায় টেনে এনেছিল ওই দম্পতি। যদি লভ্যাংশের ৭৫ শতাংশই তারা হাতিয়ে নিত। গত পাঁচ বছর ধরে চলছিল ওই কাণ্ড। এই কাণ্ডে মূল অভিযুক্তের নাম উজ্জ্বল কিশোর। সে ও তার স্ত্রী নীলু শ্রীবাস্তব মিলে এই চক্র চালাত বলেই দাবি। অভিযোগ, ফেসবুকের মতো অনলাইন মঞ্চকে ব্যবহার করে ‘টোপ’ দেওয়া হত। প্রথমে ‘ইচ্যাটো ডট কম’ নামের একটি পেজ খোলা হয়েছিল। সেখানে মডেলিংয়ের লোক খোঁজার পোস্ট করা হত। আকর্ষণীয় বেতনের হাতছানিতে অনেকেই হাজির হয়ে যেতেন ওই দম্পতির ফ্ল্যাটে। তারপরই দেওয়া হত আসল কাজের প্রস্তাব। বলা হত পর্ন ভিডিওয় অংশ নিলে মিলবে বিপুল অর্থ। ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা রোজগারের এই ফাঁদ কেটে বেরিয়ে আসতে না পেরে অনেকেই যুক্ত হয়ে যেতেন। ইডি যখন তল্লাশি চালাতে ওই ফ্ল্যাটে যায়, তখনও সেখান থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। অনুমান, শয়ে শয়ে মহিলা এই র্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত। ওই ফ্ল্যাটে যেভাবে উচ্চপ্রযুক্তির সম্প্রচারের বন্দোবস্ত ছিল তা দেখে থ তদন্তকারীরা। জানা যাচ্ছে, ‘টেকনিয়াস লিমিটেড’ নামের এক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল অভিযুক্ত দম্পতি। এই সংস্থা জনপ্রিয় বহু পর্ন ওযেবসাইট পরিচালনা করত। এদিকে অভিযুক্ত উজ্জ্বল কিশোর ও তার স্ত্রী মিলে তাদের ফ্ল্যাটে ‘অনলি ফ্যানস’ বলে একটি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মও চালাত। সেখানে অর্ধেক মুখ দেখানো, পুরো মুখ দেখানো, সম্পূর্ণ নগ্নতা ইত্যাদি অপশনও থাকত। খদ্দেররা তাদের পছন্দমতো অপশন বেছে নিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে টাকা পাঠিয়ে দিত। যদি সেই টাকার সিংহভাগই যেত উজ্জ্বল কিশোরের খাতে। এই ‘গুণধর’ এর আগে রাশিয়ায় থেকে সেখানেও একই কাজ করত বলে দাবি।