বিজেপি শাসিত মণিপুরে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর স্ত্রীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন

ব্রিটিশদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে সামিল হয়েছিলেন এস চূড়াচাঁদ সিং। স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে তাঁকে সম্মানিত করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম। যে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়েছিলেন চূড়াচাঁদ সিং, সেই দেশের মাটিতেই তাঁর অশীতিপর স্ত্রীকে জ্যান্ত পুড়ে মরতে হয়েছে। মণিপুরে জাতি হিংসা চলাকালীন গত ২৮ মে কাকচিং জেলার সেরাউতে ৮০ বছরের ইবেতোম্বিকে ঘরের মধ্যে বন্ধ করে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে দুষ্কৃতীরা। চূড়াচাঁদ সিংয়ের ভিটেতে শুধু পড়ে রয়েছে ছাই।মণিপুরে গত আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে জাতি হিংসার নামে কী বীভ‍ৎস আর ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে তা ক্রমেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। গত বুধবার দুই কুকি যুবতীকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল গোটা দেশ। ওই ঘটনা গোটা বিশ্বের কাছে নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এর প্রকৃত চিত্র বেআব্রু করে দিয়েছিল। আর এবার একের পর এক বীভ‍ৎস ঘটনা প্রকাশ হচ্ছে। কাকচিং জেলার সেরাউয়ের বাসিন্দা ২২ বছরের তরুণ প্রেমকান্ত তাঁর ঠাকুরমার নৃশংস খুনের বর্ণনা দিতে গিয়ে শনিবার বার বার শিহরে উঠছিলেন। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘গত ২৮ মে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী চড়াও হয় সেরাউয়ে। ভয়ে সবাই পালাচ্ছিল। অশক্ত ঠাকুরমা বলেছিলেন, তোমরা পালাও। সুযোগ পেলে আমাকে এসে নিয়ে যেও। হয়তো ভেবেছিলেন অথর্ব বৃদ্ধা বলে তাঁকে ছাড় দেবে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু তা হয়নি। বাড়ির কাউকে না পেয়ে ঠাকুরমাকে ঘরের ভিতরে আটকে রেখে আগুন লাগিয়ে দিল। সেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলেন। তাণ্ডব থামার পরে যখন বাড়িতে ফিরলাম, তখন সব শেষ….।’

error: Content is protected !!