
৩৮ রানে জয়ী গুজরাত টাইটান্স
গুজরাত টাইটান্স দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিয়ে প্লে-অফের আরও কাছে পৌঁছে গেল। আজ নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিলেন শুভমান গিলরা। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২২৪ তোলে গুজরাত টাইটান্স। অধিনায়ক শুভমান গিল ১০টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৩৮ বলে ৭৬ রান করেন। জস বাটলার তিনটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে ৩৭ বলে করেন ৬৪। সাই সুদর্শন ২৩ বলে ৪৮, ওয়াশিংটন সুন্দর ১৬ বলে ২১, রাহুল তেওয়াটিয়া ৩ বলে ৬ ও রশিদ খান ১ বলে ০ রানে আউট হন। শেষ ৯ বলের মধ্যে পড়ে চার উইকেট, তিনটি ডেলিভারিতে আসে ছক্কা। এম শাহরুখ খান ২ বলে ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। জয়দেব উনাদকাট ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে নেন তিন উইকেট। প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ৪০ ও জিশান আনসারি ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে একটি করে উইকেট নেন। সানরাইজার্সের ফিল্ডাররা বেশ কয়েকটি ক্যাচ ফেলেন। একাধিক জীবন পান জস বাটলার। শুভমান গিল বিতর্কিত রান আউটের পর চতুর্থ অফিসিয়ালের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। ফিল্ডিংয়ের সময়েও মেজাজ হারান গিল। অভিষেক শর্মার বিরুদ্ধে একটি লেগ বিফোরের আবেদন নাকচ হওয়ার জেরে। ফলে গিল বারবার আম্পায়ারের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করায় শাস্তির কোপে পড়তে পারেন। ২২৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেছিলেন ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা। হেড ১৬ বলে ২০ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার হন। ঈশান কিষাণ ১৭ বলে ১৩ রান করেন, তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরান জেরাল্ড কোয়েটজি। এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অভিষেক ও হেইনরিখ ক্লাসেন। যদিও তিন বলের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তাঁরা। ২৮ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করা অভিষেক ইশান্ত শর্মার শিকার। তিনি তিনটি চার ও চারটি ছয়ের সাহায্যে করেন ৪১ বলে। ১৫তম ওভারের শেষ বলে আউট হন অভিষেক। এরপর ১৫.৩ ওভারে সাজঘরে ফেরেন ক্লাসেন। ক্লাসেন ১৮ বলে ২৩ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার। প্রসিদ্ধ চলতি আইপিএলে ১৯টি উইকেট নিয়ে ফের বেগুনি টুপির দখল নিলেন। অনিকেত ভার্মা ৭ বলে ৩ রান করে মহম্মদ সিরাজের শিকার হন। কামিন্দু মেন্ডিসকে (১ বলে ০) তার পরের বলেই ফেরান সিরাজ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ শেষ অবধি ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান তোলে। ১০ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ১০ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। গুজরাত টাইটান্স জিতল ৩৮ রানে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ৪ ওভারে ১৯ ও মহম্মদ সিরাজ ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন। জেরাল্ড কোয়েটজি ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে একটি উইকেট পান। ইশান্ত শর্মা ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বল করার পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩.২ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে পেলেন ১ উইকেট। রশিদ খান ৩ ওভারে ৫০ রান দেন, উইকেট পাননি। এই জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে গুজরাত উঠে এলো পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। সানরাইজার্সের ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্টই রইল। নেট রান রেট মাইনাস (-) ১.১৯২। ফলে সব ম্যাচ জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪। যদি ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কোনও একটি দলও শেষ চারে যায় সেক্ষেত্রে কামিন্সদের ভোগাবে নেট রান রেটই। ফলে চেন্নাই, রাজস্থানের মতো হায়দরাবাদ ছিটকে গেল, এটা বলাই যায়।