মুম্বইকে ৩৬ রানে হারালো গুজরাত

প্রথম ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়ে হারের পর এ বার দ্বিতীয় ম্যাচটা সহজেই জিতল গুজরাত টাইটান্স। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৩৬ রানে হারিয়ে জয়ের খাতা খুলল তারা। অন্যদিকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে চলে গেল এবং নিজেদের লড়াইটা আরও কঠিন করে তুলল। এই ম্যাচে কোনও বিভাগেই মুম্বই গুজরাটকে ছাপিয়ে যেতে পারেনি। টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। গুজরাত টাইটান্স শুরুতে নেমে দ্রুত রান করা শুরু করে। সাই সুদর্শন ও শুবমান গিল দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন। ওপেনিং জুটি করে ৭৮ রান। গিল ২৭ বলে ৩৮ রান করে রানের গতি সেট করে দেন। এর পর দল সেই গতিতে এগোতে থাকে। প্রথম উইকেটে ৭৮ রান ওঠার পর দ্বিতীয় উইকেটে ওঠে ৫১ রান। সাই সুদর্শন ও জশ বাটলার এই ইনিংস তৈরি করেন। ১২৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে একটা সময় গুজরাত চালকের আসনে ছিল। ২০০ রান আসছে বলে ধরেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু ১৯৬ রানে আটকে যেতে হয় তাদের। ওপেনার সাই সুদর্শন ৬৩ রানে ফেরেন। অন্যদিকে বাটলার করেন ৩৯ রান। তবে টপ অর্ডারে তিন ব্যাটার ফেরার পর আর কেউ বড় রান পাননি। শেরফান রাদারফোর্ড করেন ১৮। শাহরুখ খান, রাহুল তেওটিয়া, রশিদ খানদের মতো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট ব্যাটার থাকলেও রান পাননি কেউ। মুম্বইয়ে হয়ে বল হাতে দুটি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। একটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, দীপক চাহার, মুজিব উর রহমান ও সত্যনারায়ণ রাজু। এই ম্যাচে মুম্বই চমক দেয় গত ম্যাচে দাপট দেখানো ভিগনেশ পুথুরকে না নিয়ে। রান তাড়া করতে নেমে এই ম্যাচেও ব্যর্থ হন রোহিত শর্মা। গত ম্যাচে শূন্যে ফেরার পর এই ম্যাচে করলেন মাত্র ৮ রান। সিরাজের বলে বোল্ড হন তিনি। এর পর রায়ান রিকেলটন ৬ রানে ফেরেন। ৩৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে মুম্বই একটা সময় ধুঁকছিল। সেই সময় তিলক বর্মা ও সূর্যকুমার যাদব রান করে দলের হাল ধরেন। তিলক বর্মা ৩৯ রানে ফেরার পর রান করা চালিয়ে যান সূর্য। রবিন মিনজ করেন ৩ রান। তবে সূর্য ৪৮ রানে আউট হওয়ার পর ম্যাচ আর মুম্বইয়ের পক্ষে ছিল না। এর পর ১১ রানে আউট হন হার্দিক। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে হার্দিক ১৭ বল খেলে মাত্র ১১ রান করেন। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রানে আটকে যায় মুম্বই।

error: Content is protected !!