ইতিহাস গড়ে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১০ উইকেটে হারালো গুজরাত টাইটান্স

দিল্লি ক্যাপিটালস: ১৯৯/৩ (রাহুল ১১২, অভিষেক ৩০, অক্ষর ২৫, স্টাবস ২১ প্রসিধ ৪০/১),
গুজরাট টাইটান্স: ২০৫ (সাই ১০৮, গিল ৯৩),
১০ উইকেটে জয়ী গুজরাত টাইটান্স।

১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে প্লে-অফে পৌঁছল গুজরাত টাইটান্স। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে শুবমানের দল।  রবিবারের দ্বিতীয় ম্য়াচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল গুজরাত টাইটান্স । দিল্লি অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই ম্য়াচে সাই সুদর্শন এবং শুভমান গিল ঐতিহাসিক পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। আর এই যুগলবন্দির দৌলতেই গুজরাত টাইটান্স ১০ উইকেটে জয়লাভ করেছে। সেইসঙ্গে কনফার্ম করে ফেলল প্লে-অফের টিকিটও।  প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দিল্লির। ১০ বলে ৫ করে আউট হন ফাফ ডু প্লেসি। এরপর দলের হাল ধরেন কেএল রাহুল এবং অভিষেক পোড়েল। ৯০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ১৯ বলে ৩০ করে আউট হন অভিষেক। চারে নেমে অক্ষর প্যাটেল করেন ১৬ বলে ২৫ রান। তবে একটা দিক আগলে রেখেছিলেন রাহুল। ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। থেমে থাকেননি সেখানেই। শেষে চালিয়ে খেলে সেঞ্চুরি করেন রাহুল। ৬০ বলে পূর্ণ করেন শতরান। IPL-এ এই পঞ্চম সেঞ্চুরি তাঁর। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬৫ বলে ১১২ রানে। ত্রিস্তান স্টাবস অপরাজিত থাকেন ১০ বলে ২১ করে। ৩ উইকেটে ১৯৯ তোলে দিল্লি। ২০০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে একবারের জন্যও সমস্যায় পড়েনি গুজরাত। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেন শুবমান গিল ও সাই সুদর্শন। ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন সাই সুদর্শন। ১১ ওভারেই ১০০ রানের গন্ডি পেরিয়ে যায় গুজরাট। তবে থামেননি দুই ওপেনার। শেষ দিকে হাত খোলেন শুবমানও। ৩৩ বলে অর্ধশতরান করেন। কোনওরকম প্রভাব ফেলতে পারেননি দিল্লির বোলাররা। ১৮তম ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সুদর্শন। ৫৬ বল নেন শতরান করতে। ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন। শুবমান সেঞ্চুরি না পেলেও অপরাজিত থাকেন ৯৩ রানে। ১ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে গুজরাট। প্রথম ম্যাচে দাগ কাটতে ব্যর্থ বাংলাদেশের পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

error: Content is protected !!