
৩ দিন ধরে নিখোঁজ, খালে ভেসে উঠল মডেলের গলাকাটা দেহ
গ্রামের খালে ভাসছে জনপ্রিয় মডেলের দেহ ৷ ৩ দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মিউজিক ভিডিও শ্যুট করতে ৷ কিন্তু আর ফিরে আসেননি ৷ গতকাল (রবিবার) ২৩ বছরের মডেল শীতল ওরফে সিম্মি চৌধুরীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ পুলিশ জানিয়েছে, মডেলের দেহে একাধিক ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল ৷ শরীরে ট্যাটু দেখে তাঁর পরিচয় জানা যায় ৷ শীতল পানিপতের খলিলা মাজরা গ্রামের বাসিন্দা ৷ হরিয়ানভি সঙ্গীত জগতে তাঁর পরিচিতি ছিল ভালোই ৷ তিনি তাঁর বোন নেহার সঙ্গে সাতকর্তন কলোনিতে থাকতেন। পানিপথের ওল্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল থানায় দিদির নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন নেহা। দিদির সম্পর্কে নেহা জানান, ১৪ জুন (শনিবার) আহার গ্রামে গিয়েছিলেন মিউজিক ভিডিয়ো শ্যুট করতে ৷ তারপর থেকেই নিখোঁজ হয় শীতল ৷ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খুনের উদ্দেশ্য কী ? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শীতলের দেহ উদ্ধারের আগে, রবিবার সকালে দিল্লির প্যারালাল খাল থেকে একটি গাড়ি পাওয়া যায়। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন সুনীল নামে এক ব্যক্তি, যিনি ইসরানার বাসিন্দা। ক্রেনের সাহায্যে খাল থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। তবে চালক প্রাণে বেঁচে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুনীল শীতলের বন্ধু ছিলেন ৷ তবে শীতলের হত্যাকাণ্ড এবং গাড়িটি উদ্ধারের মধ্যে এখনও কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। শীতলের বোন নেহা জানান, তাঁর দিদি গত ১৪ জুন একটি হরিয়ানাভি অ্যালবামের শুটিংয়ের জন্য আহার গ্রামে গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, ওইদিন বাড়ি ফেরেননি ৷ তিনি পরদিন পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷ নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন ৷ এদিকে, পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।