
উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার নিয়োগ সম্পন্ন করতে এসএসসিকে সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট
হাইকোর্টের তোপে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার । ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়া ১৬-মের মধ্যে সম্পন্ন করতে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট । তার মধ্যে নিয়োগ তালিকায় থাকা সমস্ত যোগ্যকে চাকরি দিতে হবে বলে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ । নাহলে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাইকোর্ট । এদিন আদালতে শুনানির জন্য বিষয়টি উঠলে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, “এখন এসএসসি এসে যদি বলে অমুক তমুক সমস্যায় নিয়োগ সম্পন্ন করা যায়নি কেন মানবে আদালত ? গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে । এসএসসি চাকরি না দেওয়ার এমন অজুহাত দেখাতে পারে না । যদি এসএসসি চেয়ারম্যান সমাধান করতে না পারে আদালত তা মেনে নেবে না । ভূগোলের আসন নিয়ে রাজ্য সরকার না শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবে স্কুল সার্ভিস কমিশন, সেটা তাঁর সমস্যা । এসএসসি কীসের জন্য ? এই ধরনের সমস্যা যাতে না হয় তা দেখার জন্যই তো ? আদালতের নির্দেশ মতো উচ্চপ্রাথমিকের নিয়োগ তালিকার প্রত্যেককে চাকরি দিতে হবে । শেষ সুযোগ দিচ্ছে আদালত । চাকরি এরপরে না পেলে হাইকোর্ট কড়া পদক্ষেপ নেবে ৷” আইনজীবী সপ্তাংশু বসু এদিন আদালতে বলেন, “নানা কারণে স্কুল সার্ভিস কমিশন কাজ করতে পারছে না । ফলে কিছুটা সময় দেওয়া হোক যাতে এই সমস্যার সমাধান করা যায় । হাইকোর্ট আগামী 16 মে পর্যন্ত সময় দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ।”
গত বছর অগস্ট মাসে ডিভিশন বেঞ্চ ১৪০৫২ জন প্রার্থীকে আট সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল । পরে সুপ্রিম কোর্টও গত বছর অক্টোবর মাসে সেই নির্দেশই বহাল রাখে । কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন এখনও ১৪৮২টি শূন্যপদে নিয়োগ সম্পন্ন করতে পারেনি । হাইকোর্টের নির্দেশমতো যোগ্য হয়েও কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাননি সুশান্ত ঘোষ নামে একজন ওবিসি চাকরিপ্রার্থী । ভূগোলে ৮৮টি শূন্যপদের মধ্যে ৩৬টির নিয়োগ সম্পূর্ণ । বাকিগুলোতে তিনি সুযোগ নাও পেতে পারেন কারণ ওবিসি সংরক্ষিত পদ আর খালি নেই । বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি ।