
জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়ের ধারা বজায় রাখল বামেরা, রা কাটল ABVP’র
জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়ের ধারা বজায় রাখল বামেরা ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্যানেলের 4টি পদের মধ্যেই 3টি দখলে নিল তারা ৷ আবার, দীর্ঘ 9 বছরের খরা কাটিয়ে জয়ের মুখ দেখল আরএসএস ছাত্র সংগঠন এবিভিপি ৷ সেই সঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটরির দায়িত্ব পেলেন দলের প্রার্থী বৈভব মীনা ৷ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুলকালাম বেধে যায় বাম ও এবিভিপি সমর্থকদের মধ্যে ৷ নির্বাচনী কার্যালয়ে রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ ৷ গত 25 এপ্রিল জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয় ৷ সেই নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয় সোমবার ৷ ছাত্র সংগঠনের প্রকাশিত তথ্য় অনুযায়ী, 1 হাজার 702টি ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জিতেছেন অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্য়াসোসিয়েশনের (AISA) নীতিশ কুমার ৷ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে 1 হাজার 150টি ভোট পেয়ে জিতেছেন ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফেডারেশনের (DSF) মনীষা এবং সাধারণ সম্পাদক পদে 1 হাজার 520 ভোটে জিতেছেন DSF-এর মুনতেহা ফাতিমা ৷দীর্ঘদিন ধরে বামেদের দখলেই রয়েছে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ ৷ তবে, এবার নজর কেড়েছে আরএসএস অনুমোদিত অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি ৷ প্রায় এক দশক ধরে জেএনইউ-র কোনও ক্ষমতায় ছিল না গেরুয়া দলটি ৷ 2000 সালে শেষবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট পদটি জিতেছিল তারা ৷ প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন সন্দীপ মহাপাত্র ৷ এমনকী, 2015-16 সালের নির্বাচনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্যানেল থেকে মুছে গিয়েছিল এবিভিপি-এর নাম ৷ সেবার যুগ্ম সম্পাদক অর্থাৎ জয়েন্ট সেক্রেটরির পদে জিতেছিলেন সৌরভ শর্মা ৷ তারপর আর ক্ষমতায় ফেরা হয়নি তাদের ৷ এবার সমস্ত খরা কাটিয়ে জয়েন্ট সেক্রেটরির পদে 1 হাজার 518 ভোট পেয়ে জিতেছেন বৈভব মীনা ৷ এই জয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির ৷ জয়ের পর বৈভব বলেন, “এই জয় আমার ব্যক্তিগত জয় নয় ৷ বরং, দেশের উপজাতিক চেতনা এবং জাতীয়তাবাদী আদর্শের এক বিশাল ও মন মুগ্ধ করা জয় ৷ বামপন্থীরা দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে এই চেতনাটিকে দমন করে আসছে ৷” তিনি আরও বলেন, “সাংস্কৃতিক পরিচয় ও জাতি পুনর্গঠনের চেতনাকে অবিভক্ত রেখে যারা শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে চায়, এই জয় তাঁদের জন্য ৷” বৈভবের দাবি, এই জয় আগামীদিনে তাঁদের লড়াইয়ে আরও সাফল্য এনে দেবে ৷