মহেশতলায় অশান্তির পরই ফের রাজ্য পুলিশের রদবদল। রবীন্দ্রনগর এবং মালদহের রতুয়া থানার আইসি বদল করা হয়েছে। মহেশতলার এসডিপিও-কেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানার আইসি ছিলেন মুকুল মিঞা। তাঁকে দার্জিলিংয়ে পাঠানো হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানার নতুন আইসি হচ্ছেন রতুয়ার সার্কেল ইন্সপেক্টর সুজন কুমার রায়। মহেশতলার বর্তমান এসডিপিও কামরুজ্জামান মোল্লাকে এসিপি থার্ড ব্যাটেলিয়ানে বদলি করা হয়েছে। এসডিপিও হচ্ছেন রবীন্দ্রনগরের প্রাক্তন আইসি রেজাউল কবির। বলে রাখা ভালো, এর আগে গত ৯ জুন, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনারকে বদলি করা হয়। অজয়কুমার ঠাকুরকে কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে পাঠানো হয়েছে সিআইডি ডিআইজি পদে। বারাকপুরের নতুন কমিশনার মুরলীধর শর্মা। আইজিপি ট্রেনিংয়ে ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত বুধবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় মহেশতলা। ওইদিন সকালে আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় ফলের দোকান বসানো নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। প্রথমে বচসা। পরে তা হাতাহাতির রূপ নেয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক ভাঙচুর। একাধিক বাড়ির ছাদের উপর থেকে ঢিল ছোঁড়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ, ডিআইজি প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ-সহ পুলিশের শীর্ষকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। উন্মত্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। রবীন্দ্রনগর থানা লাগোয়া এলাকায় একটি বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় ব়্যাফ। কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়া হয়। মৃদু লাঠিচার্জও করা হয়। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন। ওই অশান্তির রেশ কাটতে না কাটতেই পুলিশ মহলে বদলি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতির মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। যদিও পুলিশের দাবি, ‘রুটিন বদলি’।