
‘উস্কানি দিলে ফের পাকিস্তানের ভিতরে ঢুকে আঘাত’, হুঁশিয়ারি ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের
অপারেশন সিঁদুরের পরে কোণঠাসা পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিয়ে যুদ্ধবিরতি করেছিল ভারত। তবে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিল যে, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের পথে হাঁটলে ফের জবাব দেবে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের পরে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের কূটনৈতিক দৌত্যের সময়েও একই সুর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের গলায়। বেলজিয়াম সফরে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বললেন, ‘ফের যদি পাকিস্তান উস্কানি দেয়, তাহলে পাকিস্তানের গভীরে ঢুকে আঘাত হানবে ভারত।’ ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে সময় পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। তার মধ্যে বাহালপুরে জৈশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিও রয়েছে। বাহালপুরের ওই ঘাঁটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার ভিতরে। মঙ্গলবার, এস জয়শঙ্কর পাকিস্তানের আরও গভীরে ঢুকে ‘মারা’-র হুঁশিয়ারি দিলেন। সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বেলজিয়ামে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানে পলিটিকো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের তুলোধনা করেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর তোপ, হাজার হাজার জঙ্গিকে প্রকাশ্যে ট্রেনিং দিয়ে ভারতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। জয়শঙ্করের হুঁশিয়ারি, ‘ওরা পাকিস্তানের কোথায় আছে আমরা দেখব না। যত গভীরেই থাক, সেখানে ঢুকে মারব।’ পহেলগামের জঙ্গি হানার প্রসঙ্গ টেনে তাঁর তোপ, ‘এপ্রিলে ওরা যে বর্বরোচিত কাজ করেছে, তা যদি আবার করে, তাহলে আমরা প্রতিশোধ নেবই। জঙ্গি সংগঠন আর তাদের নেতাদের ছাড়া হবে না।’ তবে এ দিন আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। পাকিস্তানের সরকার বা সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভারতের কোনও ‘শত্রুতা’ নেই। পহেলগামে জঙ্গি হামলার প্রায় ২ সপ্তাহ পরে অপারেশন সিঁদুর করে ভারত। ওই অভিযানে পাকিস্তানের মাটিতে থাকা অন্তত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় সেনা। পাল্টা ভারতের সাধারণ নাগরিকের জনবসতি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। তার জবাবে পাকিস্তানের একাধিক এয়ারবেসে আক্রমণ শানায় ভারত। পাকিস্তানের দাবি মেনে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও, আন্তর্জাতিক স্তরে কূটনৈতিক দৌত্য চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। পাকিস্তান কী ভাবে জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে এবং ভারতের কী অবস্থান তা স্পষ্ট করতে ৩৩টি দেশে একাধিক সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।