রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে ভর্ৎসনা ভারতের 

ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে কড়া ভাষায় পাকিস্তানের নিন্দা করেছে৷ ভারত বলেছে, যে দেশ জঙ্গি এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করে না, তাদের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই। ভারত উল্লেখ করেছে যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই মাসের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে গোলাবর্ষণ করেছে, সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করেছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় স্থানগুলিকে তাদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পর্বথানেনী হরিশ শুক্রবার বলেছেন যে, বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানি প্রতিনিধির ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দিতে আমি তৈরি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখার সময় হরিশ এই মন্তব্য করেন। এর আগে, রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার আহমেদ তার বক্তৃতায় কাশ্মীর ইস্যুটি উত্থাপন করেছিলেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথাও বলেছেন। এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হরিশ বলেন, “ভারত কয়েক দশক ধরে তার সীমান্তে ‘ইসলামাবাদ-স্পন্সর্ড’ জঙ্গি হামলার সম্মুখীন হয়েছে।” হরিশ বলেন, “ভারত কয়েক দশক ধরে তার সীমান্তে পাকিস্তান-স্পন্সরিত জঙ্গি হামলার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুম্বাই শহরে 26/11-এর ভয়াবহ হামলা থেকে শুরু করে 2025 সালের এপ্রিলে পহেলগামে নিরীহ পর্যটকদের নৃশংস গণহত্যা পর্যন্ত। পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদের শিকার মূলত সাধারণ নাগরিক৷ কারণ, এর লক্ষ্য ছিল আমাদের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং মনোবলের উপর আক্রমণ করা। নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে এমন একটি দেশের আলোচনায় অংশগ্রহণ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক।”

error: Content is protected !!