
সন্ত্রাস এবং সমঝোতা একসঙ্গে চলতে পারে না, নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত : প্রধানমন্ত্রী
নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেলের সামনে মাথা নোয়াবে না ভারত। স্পষ্ট বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদির। অপারেশন সিঁদুরের পর সোমবার রাতে প্রথমবার দেশবাসীর সামনে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর সেখানেই তিনি জানালেন, পরমাণু হামলার হুমকি দিলেও পিছিয়ে যাবে না ভারত। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেই। অপারেশন সিঁদুর ভারতের নীতি বলে জানান তিনি। এই সামরিক অভিযানকে তিনি ‘নিউ নর্মাল’ বলে উল্লেখ করেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের শূন্য সহনশীলতা নীতি কী, তা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারত বুঝিয়ে দিয়েছে বলে জানালেন তিনি। এ দিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত কোনও নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না। নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেলের ছত্রছায়ায় পরিচালিত সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামোগুলিতে হামলা চালাবে ভারত।’ তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান অত্যন্ত দৃঢ়। তিনি জানান, যে কোনও সন্ত্রাসবাদী হামলার উপযুক্ত জবাব দেবে ভারত। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভারতে হামলা চালালে, পাকিস্তান রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদীদের থেকে আলাদা করে দেখা হবে না বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসবাদের সমর্থক সরকার এবং সন্ত্রাসবাদীদের আলাদা সত্তা হিসেবে দেখব না।’ অপারেষ সিঁদুর কিন্তু প্রাথমিক ভাবে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি ধ্বংসের লক্ষ্যেই শুরু করা হয়েছিল। পরে পাকিস্তান ভারতে পাল্টা হামলা চালানোর পর, পাকিস্তান সেনার বেশ কয়েকটি ঘাঁটি ধ্বংস করে ভারত। পহেলগাম হামলার পর দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের মতো উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যে, পাকিস্তানের দিক থেকে একের পর এক নেতা-মন্ত্রী ভারতে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছেন। জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় সিন্ধু জল চুক্তি রদ-সহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল নয়াদিল্লি। এর পরেই পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসি ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, পাকিস্তানের ঘোরি, শাহিন এবং গজনবির মতো ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৩০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড, শুধুমাত্র ভারতের জন্যই রেখে দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানে জল সরবরাহ বন্ধ করলে ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।