
বায়ুসেনার ঘাঁটি ধ্বংসের পাক দাবি ভিত্তিহীন
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। এই আবহে ভারতের উপর হামলা সংক্রান্ত ভুয়ো খবর পাকিস্তান ছড়িয়ে দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া-সহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। সেই সমস্ত দাবির মাধ্যমে ইসলামাবাদ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা যেমন করছে, তেমনই ভারতের ঘাড়ে মিথ্যা দোষারোপের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের এ রকম একাধিক মিথ্যা দাবির পর্দাফাঁস শনিবার করা হয়েছে ভারতের তরফে। কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি একাধিক ছবি-ভিডিয়ো দেখিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ টেনে খুলেছেন গোটা বিশ্বের সামনে। অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের পশ্চিম সীমান্তের একাধিক জায়গায় হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। সেই হামলার সিংহভাগই ভারত রুখে দিয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্ররোচনামূলক ওই হামলায় ভারতের সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেমন, উধমপুর, ভুজ, পাঠানকোট এবং ভাটিন্ডায় থাকা এয়ারফোর্সের বেসে সামান্য কিছু যন্ত্রপাতি পাক হামলায় নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোফিয়া ও ব্যোমিকা। কিন্তু ভারতের বেশ কয়েকটি এয়ারবেস পাকিস্তান পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে সমর্থ হয়েছে বলে তারা যে দাবি করছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। পাকিস্তানের দাবি ভিত্তিহীন প্রমাণে সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ কিছু ছবি-ভিডিয়ো দেখানো হয়েছে। তা দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তানের মিথ্যাচার। ওই সব ছবিতে টাইম স্ট্যাম্পও রয়েছে। তাই ছবির সত্যতা নিয়েও প্রশ্নের কোনও অবকাশ নেই। অপারেশনের সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানে হামলা চালালেও অসামরিক কোনও পরিকাঠামো বা প্রতিষ্ঠানে আঘাত করা হয়নি। ভারতীয় হামলার মূল নিশানা ছিল জঙ্গি ঘাঁটি। তার পর পাকিস্তান ভারতের মিলিটারি বেসে হামলার চেষ্টা করলে ভারতও একাধিক পাক মিলিটারি বেস গুঁড়িয়ে দেয়। কিন্তু ভারতে হামলার ক্ষেত্রে অসামরিক পরিকাঠামো বা প্রতিষ্ঠানকে পাকিস্তান নিশানা বানাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সেনার তরফে। সেনা হাসপাতাল এবং স্কুলকে নিশানা করা পাক হামলা প্রতিহত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুরেশি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক এয়ার রুটকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। যা গুরুতর অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়। ভারতে প্যাঁচে ফেলতে সেই কাজই করে চলেছে পাকিস্তান। সেই ফাঁদে পা না দিয়ে ইসলামাবাদকে উচিত শিক্ষা দিচ্ছে ভারত।